ঢাকা: ঈদের ছুটি শেষের পথে। আবার ব্যস্ত নগরীতে ফিরতে শুরু করেছে সাধারণ জনগণ। একে একে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে পথঘাট থেকে শুরু করে বাজার পর্যন্ত। তবে ঈদের ছুটি পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় বিপাকে পড়তে হয়েছে মুরগির খুচরা ব্যবসায়ীদের।
রাজধানীতে মুরগি কেনা-বেচার সবচেয়ে বড় বাজার কাপ্তান বাজার। ঈদের ছুটির কারণে বাজারের বেশির ভাগ দোকান এখনো বন্ধ। তাই চাহিদার তুলনায় মুরগি না আসায় মুরগির পেছনে ছুটছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। আর এই সুযোগে স্বাভাবিক দিনের চেয়ে চড়া দামে মুরগি বিক্রি করছেন আড়ৎদাররা। ফলে খুচরা বাজারেও কেজি প্রতি অন্তত ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
রোববার (জুলাই ১০) দিবাগত রাতে কাপ্তান বাজার ঘুরে এই দৃশ্য দেখা গেছে।
নিউমার্কেট থেকে মুরগি কেনার জন্য এসেছেন শহিদুল। কিন্তু আড়ৎদারদের দামে হতাশ হয়ে তিনি পথ ধরেছেন মোহাম্মদপুর বাজারের দিকে। যদি কিছুটা সস্তা মেলে, এই আশায়।
শহিদুল বলেন, ১৩৫ থেকে ৪০ টাকার এক কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০টাকায়। এই দামে মুরগি কিনে কত দামে বিক্রি করবো।
বাড্ডা থেকে আসা নাসির উদ্দিন জানান, দিনে তার প্রয়োজন ১২০ পিস ব্রয়লার মুরগি। কিন্তু তিনি আজ কিনেছেন মাত্র ৩৯ পিস। বাজারে মুরগি না থাকায় কিনতে পরাছেন না।
এ বিষয়ে মুরগির আড়ৎদার ভাই ভাই পোল্টির কর্মকর্তা আব্দুল হেকিম বলেন, আজকে ব্যবসা ভাল, মাল কম, কাস্টমার বেশি। তাই একটু বেশি দামেও বিক্রি করছি।
তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক দিনগুলোতে এক থেকে দেড় হাজার পিস মুরগি বিক্রি করা হয়। যা টাকার অংকের পরিমাণ ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। কিন্তু ঈদের পর চাহিদা থাকলেও মুরগি না থাকায় দাম কিছুটা বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।
দুই বছর ধরে পেরেন্টস জাতের মুরগির ব্যবসা করছেন আল্লাহর দান পোল্টির মালিক মো. রবিউল ইসলাম।
তিনি জানান, প্রতিদিন অন্তত ১ থেকে দেড় হাজার পিস মুরগি বিক্রি করেন তিনি। প্রতিটি মুরগি ২ থেকে ৪ কেজি ওজনের। যার প্রতিকেজি মুরগির দাম ১৯০ টাকা। তবে আজকে চাহিদার তুলনায় মুরগি কম থাকায় দাম একটু বেশি।
মা বাবার দোয়া পোল্ট্রি কমপ্লেক্সের মালিক জিয়াউর রহমান বলেন, তিনি প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ ট্রাক মুরগি বিক্রি করেন। কিন্তু আজ শুধুমাত্র দুই ট্রাক মুরগি বাজারে এসেছে। আর দুই ট্রাক পথে রয়েছে।
জানা যায়, রাতের বাজারে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টি দোকানে বিভিন্ন জাতের মুরগি বিক্রি হয়। এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৭০টি দোকানে। আর লাল মোরগ, সোনালী, পাকিস্তানি কক ইত্যাদি মুরগি বিক্রি হয় বাকি দোকানগুলোতে।
এদিকে এক সপ্তাহের মধ্যে মুরগির বাজার স্বাভাবিক হতে পারে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।