টম সেইন্টফিটই হচ্ছেন লাল-সবুজের জাতীয় ফুটবল দলের কোচ, গুঞ্জনটা শোনা যাচ্ছিলো ফেডারেশন কাপ থেকেই। অবশেষে সেই গুঞ্জনই সত্যি হলো। তবে স্থায়ী নয়, আসছে ০৬ সেপ্টেম্বর ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ ‘প্লে অফ-২’র হোম ও ১১ অক্টোবর অ্যাওয়ে ম্যাচকে সামনে রেখে স্বল্প মেয়াদের জন্য মামুনুল ইসলামদের কোচের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সেইন্টফিট। তবে আপাতত সবই মৌখিক, কেননা বাফুফের দেয়া চুক্তিপত্রে তিনি এখনও স্বাক্ষর করেননি।
বাংলাদেশের স্বল্প মেয়াদে কোচ হওয়ার লক্ষ্যেই মঙ্গলবার (১২ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশে আসেন সেইন্টফিট। এদিন সকাল ১১টা থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে উপস্থিত ছিলেন নব-নিযুক্ত এই কোচ। দেখেছেন শিষ্যদের রিপোর্টিং। এরপর বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ সহ ফেডারেশনের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিকেলে তার সাথে বৈঠকের পর বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ প্রথমেই গণমাধ্যমকে জানান সেইন্টফিটের সঙ্গে বাফুফের চুক্তি সক্রান্ত বিষয়ে, ‘আমরা দুদিন আগে চুক্তিটি পাঠিয়েছিলাম। যখন পাঠিয়েছি তখন তিনি প্লেনে ছিলেন। আমাদের কিছু পর্যবেক্ষন সেখানে ছিল। সেই চুক্তির প্রেক্ষিতে তিনি আজ বলেছেন যে, চুক্তিটি তার আইনজীবীর কাছে পাঠিয়েছেন। আমরা আশা করছি তিন-চারদিনের মধ্যে চুক্তির কাজটি শেষ করে ফেলতে পারবো। বিষয়টি এখনও মৌখিক কথাবার্তার মধ্যেই আছে। আমাদের লিগাল কয়েকটি বিষয় তার দেখার আছে।’
এদিকে নাইজেরিয়ান ফুটবল ফেডারেশনও সেইন্টফিটকে তাদের কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রেখেছে। এমতাবস্থায় যদি বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পর নাইজেরিয়ান ফুটবল ফেডারেশন তাকে ডেকে বসে তখন বাফুফে কী করবে? গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী নাবিল জানান, ‘তিনিও মানুষ, আমরাও মানুষ। মানুষের উচ্চাকাঙ্খা থাকতেই পারে। সেখনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো ঠিক না। আর এমন কিছু হলে তখন সেটা আলোচনা করা যেতে পারে আমাদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে।’
‘আমরা মাস খানেক আগে যখন তার রেফারেন্স পেয়ে কথা বলেছি, তখন তিনি আমাদের ফেডারেশন কাপ দেখেছেন। নাইজেরিয়ান ফুটবল ফেডারেশন তাকে শর্ট লিস্টে রেখেছে, তার মানে আমরা এমন এক কোচকে আনছি যার ভাল একটি ট্র্যাক রেকর্ড আছে। ফুটবলের বড় দেশও তাকে বিবেচনায় নেয়। নাইজেরিয়ার জন্য যদি সুযোগ পায়, তাহলে প্রেক্ষাপট ভিন্ন হতে পারে। তবে আমরা তাকে তিন মাসের জন্য নিচ্ছি ভুটান ম্যাচের জন্য। এরপর ফলাফলের উপর ভিত্তি করে তার চুক্তি বাড়ানোর বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পারে’-যোগ করেন নাবিল।
এসময় নবনিযুক্ত কোচ নিয়ে বাফুফের সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনার কথাও গণমাধ্যমকে অবহিত করেন বাফুফে সহ-সভাপতি, ‘আগামী সাত দিন তিনি দলকে অনুশীলন করাবেন। অনুশীলন শেষে করে সব প্লেয়াররা চলে যাবে ক্লাবে লিগ খেলার জন্য। আমাদের মূল ৫টি ক্লাব থেকে যে প্লেয়াররা এসেছে সেই ক্লাবগুলোর সাথে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন এবং প্রতিনিয়ত ক্লাব পরিদর্শনে যাবেন। ম্যাচ ছাড়াও তিনি ক্লাবের অনুশীলন দেখবেন এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষকে তার পর্যবেক্ষণের প্রতিবেদন দেবেন। তাতে করে প্লেয়ারদের সাথে বেশি সময় তিনি থাকতে পারবেন। এছাড়াও খেলোয়াড়দের কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েই আমাদের সাথে কথা হয়েছে। গত দু-চার বছরে যে অভাব গুলো আমরা বেশি মনে করেছি, যেমন সেটপিচে গোল খাওয়া, ফিনিশিংয়ের অভাব এসব দুর্বলতা আমরা তার কাছে তুলে ধরেছি এবং তিনি এগুলোর নোট নিয়েছেন।’