যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক সড়ক ‘রুট ৬৬’কে প্রযুক্তি-ভিত্তিক করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে মিসৌরির পরিবহন বিভাগ। অত্যাধুনিক পরিবহন চলাচল, নিরাপদ ব্যবস্থা এবং সহজ সংস্কারের উপযোগী করতে রুট ৬৬’র জন্য সোলার রোড টেক’র পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
আশা করা হচ্ছে, সোলার রোড প্রযুক্তি নিয়ে চলমান ছোট্ট পরীক্ষাটি সফল হলে কর্তৃপক্ষ এবং রাজপথকে পরিস্কার রাখতে সাহায্য করবে এটি।
উইল রজার্স হাইওয়ে এবং আমেরিকার মেইন স্ট্রিট নামেও পরিচিত রুট ৬৬।
পরিবহন বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পদ্ধতিতে সূর্যের আলো সংশ্লিষ্ট পথগুলোকে আরো ঘনিষ্ট করা হচ্ছে। সোলার রোড টাইলসের পরীক্ষামূলক সংস্করণ রুট ৬৬ এর পার্শ্ব-রাস্তায় স্থাপন করা হবে।
পদ্ধতিটি যথেষ্ট টেকসই কিনা এবং সাধারণ রাস্তার জন্য নিরাপদযোগ্য করে তুলতে এখন চলছে এর পরীক্ষা।
এ বছরের শেষে সোলার রোড টেক প্রকাশ্যে আনার প্রত্যাশা রয়েছে।
আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, রুট ৬৬ ছাড়াও আরো কিছু রুটের পদ্ধতিটি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। অবশ্য নাম নির্দিষ্ট করা হয়নি। আর আগে যারা সোলার রোড দেখেছে টাইলসগুলো তাদের কাছে পরিচিত বলে মনে হবে।
লেড লা্ইটিং দিয়ে তৈরি সোলার সেল, উত্তপ্ত উপকরণ এবং টেম্পারড গ্লাস প্রতিটি টাইলসে সংযুক্ত। যেটা যথেষ্ট শক্তিশালী একটি সেমি ট্রেলার ট্রাকের ওজন সহ্য করার মতো।
তথ্য মতে, প্যানেলটির পরীক্ষার ফলাফল প্রত্যাশাপূর্ণ হলে এটি ইলেকট্রিক গ্রিডের যোগান দেবে। ফলে এর আলো দ্বারা রাস্তা হবে নিরাপদ এবং বৃষ্টি ও বরফ মুক্ত করতে সহায়ক হবে। এছাড়া পিচের চেয়ে এটি সহজেই মেরামত করা যাবে , কারণ ছোট ছোট ফাটল ঠিক করতে পুরো রাস্তাটাই পিচ করার প্রয়োজন হবে না। রুট ৬৬‘তে তখন চলাচল করবে প্রচুর পরিমানের গাড়ি। আর এজন্য মিসৌরির পক্ষ থেকে থাকবে যথেষ্ট সমর্থন।
পরিবহন বিভাগের টম ব্লেয়ার মন্তব্য , আগামীতে স্ব-চালিত গাড়িগুলোকে শহরের রোডগুলোতে আনার উদ্যোগ নিলে পরিবহনগুলোর তুলনায় রাস্তাগুলো উপযুক্ত না হলে অদ্ভুত একটা ব্যাপার হবে।