রাজধানীর গাবতলী গরুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও চাঁদাবাজির কারণে বেশি দামে মাংস বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাই এ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।
রোববার (১৭ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠন দু’টির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম অভিযোগ করেন, গাবতলী গরুর হাটের ইজারাদাররা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, আদালতের আদেশ, সিটি করপোরেশনের শর্ত কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেন না। রাত ১২টার আগে হাট থেকে গরু বের হতে দিচ্ছেন না তারা। ইজারাদারদের নিযুক্ত চাঁদাবাজদের দিয়ে মাংস ব্যবসায়ীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিচারের নামে চাঁদাবাজিও করা হচ্ছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গাড়ি দিয়ে গরু নিতে হলে ইজারাদারকে টাকা এবং হাটে গরু বিক্রি করতে ডোগা ভাড়া দিতে হয়। চাঁদাবাজির এমন কোনো কৌশল নেই যে তারা ব্যবহার করছেন না।
রবিউল আলম বলেন, চাঁদাবাজির প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ঢাকার দুই মেয়র ও আদালতে রিট আবেদন করা হয়েছে। আদালত রুল জারি করেছেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই কোনো কাজ হচ্ছে না।
অবিলম্বে এ চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে মাংস বিক্রি বন্ধসহ কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন মাংস ব্যবসায়ীরা। তারা দাবি করেন, চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে এর মাশুল দিতে হবে জনগণকে। কেননা, তাহলে মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা মন্টুসহ অন্যান্য নেতারা।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গাবতলী গরুর হাটের ইজারাদার লুৎফর রহমান বলেন, তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, রবিউল আলম স্থানীয় একটি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা। তাই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তারা কয়েকজন মিলে একটি সমিতি করেছেন। এ সমিতির নামে গরুর হাট থেকে কম খাজনা দিয়ে গরু বের করে নিয়ে আসা হচ্ছে।