২০১৯ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান অংশ নিতে পারবেন না।
অর্থপাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এক মামলায় আদালত তাকে সাত বছরের জেল ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ অনুযায়ী কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সাজা ভোগ করার পাঁচ বছর অতিক্রান্ত না হলে তিনি সংসদ নির্বাচনের জন্য অযোগ্য হবেন। অর্থাৎ ওই রায় অনুযায়ী অন্তত আগামী ১২ বছর তারেক রহমান নির্বাচনের অযোগ্য।
ইসি উপ-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে , সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি দ্বাদশ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না। কারণ সাজাভোগের পর পাঁচ বছর সময় অতিক্রান্ত হতে হবে।
দশম সংসদ নির্বাচন হয়েছে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। সে হিসেবে ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যেই হবে একাদশ সংসদ নির্বাচন। তবে এর মধ্যে আপিলে রায়ের পরিবর্তন এলে বা রায় স্থগিত হলে তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
২১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) অর্থপাচার মামলায় বিএনপির এ নেতার সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি তুলে দেওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিলো বিএনপি। তবে তারেক রহমান দশম সংসদ নির্বাচনের অনেক আগে থেকে যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন।