ঢাকার ধামরাইয়ে জমির মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ইদ্রিস আলী খান (৫৬) নামে আহত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে তার মরদেহ উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের বাদে গাওয়াইল গ্রামে নিয়ে আসা হয়।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় চেয়ারম্যান আজাহার আ, বাদে গাওয়াইল মৌজায় ইদ্রিস আলীর ৪৪ শতাংশ জমির মধ্যে ১১ শতাংশ জমির মাটি বিক্রি করে দেন তিনি। এর পর ওই জমির মালিকানা দাবি করেন তারই চাচাত ভাই সোহরাব হোসেন।
এ নিয়ে সোহরাব হোসেনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ইদ্রিসের। গত ২৪ জুন ইদ্রিস আলী জমি থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় তার গতিরোধ করে বেদম মারধর করেন সোহরাবের দুই ছেলে হাবিবুর রহমান, লিটন ও তাদের মা বেবী বেগম।
এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালামপুর পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পরে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে সাভারের সুপার ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর তার অবস্থার আরো অবনতি হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে একমাস চিকিৎসার পর রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইদ্রিস আলী খান মারা যান।
এ বিষয়ে সোমভাগ ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী বলেন, এক মাস আগে জমি-জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ হয়। এতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইদ্রিস আলীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ রিজাউল হক , মারামারির ঘটনা উল্লেখ করে গত ২ জুলাই ইদ্রিস আলীর স্ত্রী মমতাজ বেগম বাদী হয়ে চারজনের নামে মামলা করেন যা বর্তমানে হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচিত হবে।