যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমলেও জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৪ সেন্টিমিটার কমলেও এখনও বিপদসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে নতুন করে জামালপুরের সাত উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
এদিকে বন্যার পানিতে রেললাইন ডুবে যাওয়ায় জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও সরিষাবাড়ীর ফুলবাড়িয়া এলাকায় বন্যায় রাস্তা ভেঙে জামালপুর-সরিষাবাড়ী সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও শনিবার থেকে পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি চার সেন্টিমিটার কমলেও এখনও বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জামালপুর সদর, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও বকশীগঞ্জ উপজেলার তিন শতাধিক গ্রাম বন্যা প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে বন্যার পানি রেললাইনের ওপর উঠে গেলে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ লাইনে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। লাইনের ওপর পানি থাকায় এখন পর্যন্ত রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও সরিষাবাড়ীতে বন্যার পানি রেললাইনের খুব কাছে চলে আসায় যে কোনো সময় জামালপুর-সরিষাবাড়ী লাইনে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
অপরদিকে শনিবার দুপুরে সরিষাবাড়ীর ভাটারা ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া এলাকায় প্রধান সড়ক ভেঙে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় জামালপুর-সরিষাবাড়ী সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন দুর্গত এলাকার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি রুটি এবং খিঁচুড়ি দুর্গত এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের পাশাপাশি দুর্গত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।