1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন

এক মাসেও গ্রেফতার হয়নি মূল হোতারা

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১ আগস্ট, ২০১৬
  • ২০৭ বার

গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিক ও তিন বাংলাদেশি নিহত হন। হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে আত্মদান করেন দুই সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা। মর্মান্তিক এ ঘটনার এক মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ। তবে হামলার এক মাসেও মূল হোতাদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, হামলার এক মাসের মধ্যেই মূল হোতাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয়, হামলার পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা, অস্ত্রের জোগানদাতা, প্রশিক্ষক ও জড়িতদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম চৌধুরী দেশেই অবস্থান করছেন বলেও দাবি তদন্ত সংশ্লিষ্টদের।

মূল হোতাদের মধ্যে সাইফুল্লাহ ওজাকি, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এটিএম তাজউদ্দিন ও নাজিবুল্লাহ আনসারী দেশি জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ভূমিকা রেখেছেন। তামিম চৌধুরী ছাড়া বাকিরা সবাই বর্তমানে সিরিয়ায় অবস্থান করছেন বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশান হামলাকারীদের সর্বশেষ আবাসস্থল বা অপারেশনাল হাউজ চিহ্নিত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে জব্দকৃত গাড়ির মালিকানা নিশ্চিত করা হয়েছে। জঙ্গিরা কোনও ধরনের মাদক সেবন করেছিলো কি না তা পরীক্ষার জন্য তাদের রক্ত ও চুলের নমুনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, গুলশানসহ সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িতদের অনেককেই শনাক্ত করা হয়েছে। এসব নব্য জেএমবি সদস্যদের কাজ বলে দাবি করে তিনি বলেন, মাস্টারমাইন্ড চিহ্নিত হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

তিনি আরো বলেন, গুলশান হামলায় জড়িতরা কোথায় বা কাদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছে, কাদের আশ্রয়ে ছিল, কারা তাদের অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করেছে, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযানও চালানো হচ্ছে। তবে ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করায় জঙ্গিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড হচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম চৌধুরী। তার পরিকল্পনাতেই গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলা চালানো হয়। মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী প্রায় দুই বছর আগে কানাডা থেকে দেশে আসেন। এরপর থেকে জেএমবির একটি অংশের নেতৃত্ব দেন তিনি। মূলত দেশীয় জঙ্গি সংগঠনের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তামিম।

অন্যদিকে কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন স্টর্ম-২৬ এ নিহত ঢাকা অঞ্চলের জেএমবি’র কমান্ডার জঙ্গি রায়হান কবির ওরফে তারেক ছিলো তাদের প্রশিক্ষক। এছাড়া আরও কয়েকজন প্রশিক্ষককে শনাক্ত করা হয়েছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির একটি অংশ সম্প্রতি কথিত ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে। তাদেরই পরিকল্পনায় গুলশান হামলা।

গুলশান হামলার ঘটনায় জড়িত জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করলেও মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি তাদের। তারা হলেন- বসুন্ধরার ই-ব্লকের ৬ নম্বর সড়কের টেনামেন্ট-৩-এর ৬/এ ফ্ল্যাটের মালিক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি জিয়া উদ্দিন আহসান, তার ভাগ্নে আলম চৌধুরী ও ভবনের কেয়ারটেকার মাহবুবুর রহমান তুহিন। এছাড়া শেওড়াপাড়ার ৪৪১/৮ নম্বর বাসার মালিক নূরুল ইসলামকেও ৫৪ ধারায় গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই রাতে গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনায় বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন খান ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল করিম ছাড়াও ১৭ বিদেশি নাগরিক ও তিন বাংলাদেশি নিহত হন। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযান অপারেশন ‘থান্ডারবোল্টে’ ছয় জঙ্গি নিহত হন। জীবিত উদ্ধার করা হয় তিন বিদেশিসহ ১৩ জিম্মিকে।

গুলশান হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জন প্রত্যক্ষদর্শী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে গত ২৬ জুলাই একজন ভারতীয় নাগরিকসহ দুজন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জবানবন্দি দেন আদালতে।গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিক ও তিন বাংলাদেশি নিহত হন। হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে আত্মদান করেন দুই সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা। মর্মান্তিক এ ঘটনার এক মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ। তবে হামলার এক মাসেও মূল হোতাদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, হামলার এক মাসের মধ্যেই মূল হোতাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয়, হামলার পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা, অস্ত্রের জোগানদাতা, প্রশিক্ষক ও জড়িতদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম চৌধুরী দেশেই অবস্থান করছেন বলেও দাবি তদন্ত সংশ্লিষ্টদের।

মূল হোতাদের মধ্যে সাইফুল্লাহ ওজাকি, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এটিএম তাজউদ্দিন ও নাজিবুল্লাহ আনসারী দেশি জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ভূমিকা রেখেছেন। তামিম চৌধুরী ছাড়া বাকিরা সবাই বর্তমানে সিরিয়ায় অবস্থান করছেন বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশান হামলাকারীদের সর্বশেষ আবাসস্থল বা অপারেশনাল হাউজ চিহ্নিত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে জব্দকৃত গাড়ির মালিকানা নিশ্চিত করা হয়েছে। জঙ্গিরা কোনও ধরনের মাদক সেবন করেছিলো কি না তা পরীক্ষার জন্য তাদের রক্ত ও চুলের নমুনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, গুলশানসহ সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িতদের অনেককেই শনাক্ত করা হয়েছে। এসব নব্য জেএমবি সদস্যদের কাজ বলে দাবি করে তিনি বলেন, মাস্টারমাইন্ড চিহ্নিত হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

তিনি আরো বলেন, গুলশান হামলায় জড়িতরা কোথায় বা কাদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছে, কাদের আশ্রয়ে ছিল, কারা তাদের অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করেছে, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযানও চালানো হচ্ছে। তবে ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করায় জঙ্গিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড হচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম চৌধুরী। তার পরিকল্পনাতেই গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলা চালানো হয়। মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী প্রায় দুই বছর আগে কানাডা থেকে দেশে আসেন। এরপর থেকে জেএমবির একটি অংশের নেতৃত্ব দেন তিনি। মূলত দেশীয় জঙ্গি সংগঠনের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তামিম।

অন্যদিকে কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন স্টর্ম-২৬ এ নিহত ঢাকা অঞ্চলের জেএমবি’র কমান্ডার জঙ্গি রায়হান কবির ওরফে তারেক ছিলো তাদের প্রশিক্ষক। এছাড়া আরও কয়েকজন প্রশিক্ষককে শনাক্ত করা হয়েছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির একটি অংশ সম্প্রতি কথিত ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে। তাদেরই পরিকল্পনায় গুলশান হামলা।

গুলশান হামলার ঘটনায় জড়িত জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করলেও মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি তাদের। তারা হলেন- বসুন্ধরার ই-ব্লকের ৬ নম্বর সড়কের টেনামেন্ট-৩-এর ৬/এ ফ্ল্যাটের মালিক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি জিয়া উদ্দিন আহসান, তার ভাগ্নে আলম চৌধুরী ও ভবনের কেয়ারটেকার মাহবুবুর রহমান তুহিন। এছাড়া শেওড়াপাড়ার ৪৪১/৮ নম্বর বাসার মালিক নূরুল ইসলামকেও ৫৪ ধারায় গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই রাতে গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনায় বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন খান ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল করিম ছাড়াও ১৭ বিদেশি নাগরিক ও তিন বাংলাদেশি নিহত হন। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযান অপারেশন ‘থান্ডারবোল্টে’ ছয় জঙ্গি নিহত হন। জীবিত উদ্ধার করা হয় তিন বিদেশিসহ ১৩ জিম্মিকে।

গুলশান হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জন প্রত্যক্ষদর্শী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে গত ২৬ জুলাই একজন ভারতীয় নাগরিকসহ দুজন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জবানবন্দি দেন আদালতে।গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিক ও তিন বাংলাদেশি নিহত হন। হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে আত্মদান করেন দুই সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা। মর্মান্তিক এ ঘটনার এক মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ। তবে হামলার এক মাসেও মূল হোতাদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, হামলার এক মাসের মধ্যেই মূল হোতাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয়, হামলার পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা, অস্ত্রের জোগানদাতা, প্রশিক্ষক ও জড়িতদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম চৌধুরী দেশেই অবস্থান করছেন বলেও দাবি তদন্ত সংশ্লিষ্টদের।

মূল হোতাদের মধ্যে সাইফুল্লাহ ওজাকি, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এটিএম তাজউদ্দিন ও নাজিবুল্লাহ আনসারী দেশি জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ভূমিকা রেখেছেন। তামিম চৌধুরী ছাড়া বাকিরা সবাই বর্তমানে সিরিয়ায় অবস্থান করছেন বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশান হামলাকারীদের সর্বশেষ আবাসস্থল বা অপারেশনাল হাউজ চিহ্নিত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে জব্দকৃত গাড়ির মালিকানা নিশ্চিত করা হয়েছে। জঙ্গিরা কোনও ধরনের মাদক সেবন করেছিলো কি না তা পরীক্ষার জন্য তাদের রক্ত ও চুলের নমুনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, গুলশানসহ সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িতদের অনেককেই শনাক্ত করা হয়েছে। এসব নব্য জেএমবি সদস্যদের কাজ বলে দাবি করে তিনি বলেন, মাস্টারমাইন্ড চিহ্নিত হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

তিনি আরো বলেন, গুলশান হামলায় জড়িতরা কোথায় বা কাদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছে, কাদের আশ্রয়ে ছিল, কারা তাদের অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করেছে, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযানও চালানো হচ্ছে। তবে ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করায় জঙ্গিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড হচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম চৌধুরী। তার পরিকল্পনাতেই গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলা চালানো হয়। মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী প্রায় দুই বছর আগে কানাডা থেকে দেশে আসেন। এরপর থেকে জেএমবির একটি অংশের নেতৃত্ব দেন তিনি। মূলত দেশীয় জঙ্গি সংগঠনের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তামিম।

অন্যদিকে কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন স্টর্ম-২৬ এ নিহত ঢাকা অঞ্চলের জেএমবি’র কমান্ডার জঙ্গি রায়হান কবির ওরফে তারেক ছিলো তাদের প্রশিক্ষক। এছাড়া আরও কয়েকজন প্রশিক্ষককে শনাক্ত করা হয়েছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির একটি অংশ সম্প্রতি কথিত ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে। তাদেরই পরিকল্পনায় গুলশান হামলা।

গুলশান হামলার ঘটনায় জড়িত জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করলেও মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি তাদের। তারা হলেন- বসুন্ধরার ই-ব্লকের ৬ নম্বর সড়কের টেনামেন্ট-৩-এর ৬/এ ফ্ল্যাটের মালিক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি জিয়া উদ্দিন আহসান, তার ভাগ্নে আলম চৌধুরী ও ভবনের কেয়ারটেকার মাহবুবুর রহমান তুহিন। এছাড়া শেওড়াপাড়ার ৪৪১/৮ নম্বর বাসার মালিক নূরুল ইসলামকেও ৫৪ ধারায় গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই রাতে গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনায় বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন খান ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল করিম ছাড়াও ১৭ বিদেশি নাগরিক ও তিন বাংলাদেশি নিহত হন। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযান অপারেশন ‘থান্ডারবোল্টে’ ছয় জঙ্গি নিহত হন। জীবিত উদ্ধার করা হয় তিন বিদেশিসহ ১৩ জিম্মিকে।

গুলশান হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জন প্রত্যক্ষদর্শী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে গত ২৬ জুলাই একজন ভারতীয় নাগরিকসহ দুজন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জবানবন্দি দেন আদালতে।গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিক ও তিন বাংলাদেশি নিহত হন। হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে আত্মদান করেন দুই সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা। মর্মান্তিক এ ঘটনার এক মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ। তবে হামলার এক মাসেও মূল হোতাদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, হামলার এক মাসের মধ্যেই মূল হোতাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয়, হামলার পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা, অস্ত্রের জোগানদাতা, প্রশিক্ষক ও জড়িতদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম চৌধুরী দেশেই অবস্থান করছেন বলেও দাবি তদন্ত সংশ্লিষ্টদের।

মূল হোতাদের মধ্যে সাইফুল্লাহ ওজাকি, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এটিএম তাজউদ্দিন ও নাজিবুল্লাহ আনসারী দেশি জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ভূমিকা রেখেছেন। তামিম চৌধুরী ছাড়া বাকিরা সবাই বর্তমানে সিরিয়ায় অবস্থান করছেন বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশান হামলাকারীদের সর্বশেষ আবাসস্থল বা অপারেশনাল হাউজ চিহ্নিত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে জব্দকৃত গাড়ির মালিকানা নিশ্চিত করা হয়েছে। জঙ্গিরা কোনও ধরনের মাদক সেবন করেছিলো কি না তা পরীক্ষার জন্য তাদের রক্ত ও চুলের নমুনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, গুলশানসহ সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িতদের অনেককেই শনাক্ত করা হয়েছে। এসব নব্য জেএমবি সদস্যদের কাজ বলে দাবি করে তিনি বলেন, মাস্টারমাইন্ড চিহ্নিত হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

তিনি আরো বলেন, গুলশান হামলায় জড়িতরা কোথায় বা কাদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছে, কাদের আশ্রয়ে ছিল, কারা তাদের অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করেছে, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযানও চালানো হচ্ছে। তবে ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করায় জঙ্গিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড হচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম চৌধুরী। তার পরিকল্পনাতেই গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলা চালানো হয়। মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী প্রায় দুই বছর আগে কানাডা থেকে দেশে আসেন। এরপর থেকে জেএমবির একটি অংশের নেতৃত্ব দেন তিনি। মূলত দেশীয় জঙ্গি সংগঠনের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তামিম।

অন্যদিকে কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন স্টর্ম-২৬ এ নিহত ঢাকা অঞ্চলের জেএমবি’র কমান্ডার জঙ্গি রায়হান কবির ওরফে তারেক ছিলো তাদের প্রশিক্ষক। এছাড়া আরও কয়েকজন প্রশিক্ষককে শনাক্ত করা হয়েছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির একটি অংশ সম্প্রতি কথিত ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে। তাদেরই পরিকল্পনায় গুলশান হামলা।

গুলশান হামলার ঘটনায় জড়িত জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করলেও মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি তাদের। তারা হলেন- বসুন্ধরার ই-ব্লকের ৬ নম্বর সড়কের টেনামেন্ট-৩-এর ৬/এ ফ্ল্যাটের মালিক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি জিয়া উদ্দিন আহসান, তার ভাগ্নে আলম চৌধুরী ও ভবনের কেয়ারটেকার মাহবুবুর রহমান তুহিন। এছাড়া শেওড়াপাড়ার ৪৪১/৮ নম্বর বাসার মালিক নূরুল ইসলামকেও ৫৪ ধারায় গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই রাতে গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনায় বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন খান ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল করিম ছাড়াও ১৭ বিদেশি নাগরিক ও তিন বাংলাদেশি নিহত হন। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযান অপারেশন ‘থান্ডারবোল্টে’ ছয় জঙ্গি নিহত হন। জীবিত উদ্ধার করা হয় তিন বিদেশিসহ ১৩ জিম্মিকে।

গুলশান হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জন প্রত্যক্ষদর্শী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে গত ২৬ জুলাই একজন ভারতীয় নাগরিকসহ দুজন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জবানবন্দি দেন আদালতে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog