গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি ও শোলাকিয়ায় ঈদগাহ ময়দানের অদূরে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে বিদেশি কূটনীতিক ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করবে। এ লক্ষ্যে সরকারের উচ্চপর্যায়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
জাতীয় টাস্কফোর্সের প্রথম বৈঠক আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্সের সভায় কূটনীতিকসহ বিদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে সমন্বিত উপায়ে কাজ করার ব্যাপারে বৈঠকে আলোচনা হবে। ভবিষ্যতে গুলশানের হামলার মতো ঘটনা ঘটলে বিদেশিরা কী করবেন, হালনাগাদ পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের কীভাবে অবহিত করা হবে, এ বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। বিদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ টাস্কাফোর্সের সভাপতিও তিনি। এর সদস্য রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ পুলিশ ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টাও এ টাস্কফোর্সের বিকল্প সভাপতি হিসেবে থাকছেন। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ, তথ্য আদানপ্রদান, তাদের নিরাপত্তায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে এ টাস্কফোর্স কাজ করবে। আজকের বৈঠকে টাস্কফোর্সের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে গত ৫ জুলাই সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশিদের কাছে নিরাপত্তা বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছিল। সে সময় বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের বিভিন্ন উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তারা নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেশ কয়েকটি সুপারিশও করেন। তাদের সেসব সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়েও টাস্কফোর্স পর্যালোচনা করবে।
বিদেশী কূটনীতিকরা নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের কাছে ইতোমধ্যেই ছয়টি সুপারিশ করেছেন। সেসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে কূটনৈতিক জোনে নিরাপত্তা নিশ্চিত, বিদেশি ক্লাবে নিরাপত্তা প্রদান, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অফিসে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, ঢাকার বাইরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার অফিসে নিরাপত্তা নিশ্চিত, বিমানবন্দরে চেক আউট ও চেক ইনের সময় বিদেশিদের নিরাপত্তা প্রদান ও ঢাকার বাইরে থাকা সকল বিদেশির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।