অর্থপাচার-জঙ্গী অর্থায়ন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সংস্থা এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিংয়ের (এপিজি) ১৯তম বার্ষিক সম্মেলন এবার যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে ৫-৮ সেপ্টেম্বর। এ সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে তা যুক্তরাষ্ট্রে নেয়া হয়।
সম্মেলনটি যুক্তরাষ্ট্রে করার জন্যও সেই দেশের পক্ষ থেকে এপিজির কাছে আবেদন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এই আবেদন গ্রহণ করেছে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত এপিজির প্রধান কার্যালয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
এপিজি’র ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সম্মেলনের নতুন সময় জানানো হয়। এতে বলা হয়, আগামী ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়াগোতে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।
এই সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ সভাতেই অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় যাবে কি না, তা নির্ধারিত হবে। অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ১১টি মানদণ্ড রয়েছে। এগুলোর মধ্যে যদি কোনো দেশ ৯ বা এর অধিক মানদণ্ডে ‘নিম্ন ও মধ্যম মানে’ থাকে, তাহলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন রিভিউ গ্রুপভুক্ত (আইসিআরজি) হবে।
যদি কোনো দেশ ৮ বা এর কম মানদণ্ডে ‘নিম্ন ও মধ্যম মানে’ থাকে, তাহলে সে ক্ষেত্রে দেশটি বিশ্বজনীন আন্তঃসরকার সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) মানদণ্ড পূর্ণভাবে বাস্তবায়নকারী দেশের তালিকায় চলে যায়। বাংলাদেশ ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আইসিআরজি প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে এফএটিএফ পূর্ণভাবে বাস্তবায়নকারী দেশের তালিকাভুক্ত হয়।
উল্লেখ্য, জঙ্গী অর্থায়ন নিয়ন্ত্রণ, অর্থপাচার প্রতিরোধ এবং যেকোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন বন্ধে প্রতিবছর এপিজির বার্ষিক সভা করা হয়ে থাকে। সংস্থাটির এবারের সভায় ৪১টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি, আটটি দেশ এবং ২৮টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রায় চারশ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। এই সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক গুলশান ও শোলাকিয়ায় দু’দফা জঙ্গী হামলার কারণে সম্মেলনের সময়সূচি পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভেন্যুও পরিবর্তন করে যুক্তরাষ্ট্রে করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।