হজ শারীরিক ও আর্থিক ইবাদাত। যারা সম্পদশালী এবং শারীরিক সামর্থ্য রয়েছে তাদের ওপর হজ আদায় করা ফরজ। তাই সামর্থ্যবানদের মধ্যে যারা হজ আদায়ে বাইতুল্লাহর সফরের ইচ্ছা পোষণ করেন, তাদের জন্য হজের প্রকারভেদ জানা আবশ্যক। কেননা এ ফরজ হজ তিনভাবে আদায় করা যায়। যা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-
হজের প্রকারভেদ
হজ তিনভাবে আদায় করা যায়-
১. হজে তামাত্তু
২. হজে ক্বিরান
৩. হজে ইফরাদ
হজে তামাত্তু
হজের মাসসমূহে (শাওয়াল, জিলক্বদ, জিলহজ) হজের সফরে প্রথমেই ওমরার নিয়তে ইহরাম বেঁধে তামাত্তু হজের অংশ বিশেষ ওমরা আদায় করা। তামাত্তু হজ আদায়কারী ব্যক্তি ওমরা আদায়ের পর ইহরাম থেকে মাথার চুল কর্তনের মাধ্যমে ইহরাম থেকে বের হয়ে ৮ জিলহজের পূর্ব পর্যন্ত অন্যান্য জিয়ারাত (মদিনাসহ মক্কার ঐতিহাসিক স্থানসমূহ) সম্পন্ন করা। পরে ৮ জিলহজের পূর্বেই হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে হজের বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করা।
হজে ক্বিরান
হজের মাসসমূহে (শাওয়াল, জিলক্বদ, জিলহজ) একই সঙ্গে হজ ও ওমরা পালনের নিয়তে ইহরাম বাঁধা এবং একই ইহরামে ওমরা আদায়ের পর ইহরাম থেকে না বেরিয়ে হজ সম্পন্ন করা।
হজে ইফরাদ
হজের মাসসমূহে (শাওয়াল, জিলক্বদ, জিলহজ) শুধুমাত্র হজ পালনের নিয়তে ইহরাম বেঁধে হজ সম্পাদন করাকে হজে ইফরাদ বলে।
উল্লেখিত প্রকারগুলোর মধ্যে হজে তামাত্তু আদায় করা সহজ ও উত্তম। তামাত্তু,ক্বিরান ও ইফরাদ হজ আদায়ের নিয়মাবলী ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর মধ্যে হজের ইচ্ছাপোষণকারী সকলকে যথাযথভাবে হজ আদায়ের তাওফিক দান করুন। হজের সফরের সকল যাত্রীর এ দোয়া করা আবশ্যক যে, ‘হে আল্লাহ! আমার হজ আদায় করাকে সহজ করে দিন; আমার হজের কার্যক্রমকে কবুল করুন।’ আল্লাহ তাআলা বাইতুল্লাহর সকল মেহমানের হজকে কবুল করুন। আমিন।