সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানোর জন্য ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের একটি ঘাঁটি রাশিয়া ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। বুধবার মস্কোর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের হামেদান ঘাঁটি থেকে দূরপাল্লার বোমারু বিমান টুপোলেভ-২২এমথ্রি ও সুখোই-৩৪ উড্ডয়ন করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়ার আলেপ্পো, ইদলিব ও দেইর আল জোর প্রদেশে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে হামলায় অংশ নিয়েছে এসব বিমান। সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের আহ্বানে গত বছর থেকে হামলা শুরুর পর এই প্রথম তৃতীয় কোনো দেশের ঘাঁটি ব্যবহার করে সিরিয়ায় হামলা চালানো রাশিয়া।
২০১১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান শুরুর পর আঞ্চলিক প্রধান মিত্র ইরান দেশটিকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
মস্কো থেকে বিবিসির স্টিভ রোজেনবার্গ বলেন, সম্প্রতি রাশিয়া এবং ইরানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুই দেশের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। গত সপ্তাহে সিরিয়ায় জঙ্গিদের অবস্থানে ক্রুজ মিশাইল হামলা চালাতে ইরাক ও ইরানের আকাশ ব্যবহারের অনুমতি চায় রাশিয়া।
১৯৭৯ সালের ইরানি ইসলামি বিপ্লবের পর এই প্রথম বিদেশি কোনো দেশকে সামরিক ঘাঁটি ব্যবহারের অনুমতি দিলো ইরান।
ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধানের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা বলছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তেহরান এবং মস্কো সুযোগ সুবিধা বিনিময় করছে। এটিকে কৌশলগত পারস্পরিক সহযোগিতা হিসেবে মন্তব্য করেছে ইরান।