রোমের নাগরিক সুরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, স্থানীয় কর্মকর্তাদের দেওয়া হিসাবে দেখা গেছে, রেইতি প্রদেশে নিহত হয়েছে ১৯০ জন এবং আসকোলি পিসেনো প্রদেশে নিহত হয়েছে ৫৭ জন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেকেই আটকা পড়েছে। তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার উদ্ধারকর্মী।
স্থানীয় সময় বুধবার ভোররাত ৩টা ৩৬ মিনিটে উমব্রিয়া অঞ্চলের পেরুজিয়া প্রদেশে আঘাত হানে ছয় দশমিক দুই মাত্রার ওই ভূমিকম্প।
বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন দেশটির কর্মকর্তারা। পার্বত্য এলাকার গ্রাম ও শহরগুলোতে এ ভূমিকম্প হওয়ায় উদ্ধারকাজ খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। উদ্ধার কাজে নিয়োজিত আছেন চার হাজার তিনশর বেশি কর্মী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হতাহতদের অনেকেই শিশু। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তুপ থেকে ১৭ ঘন্টা পর ১০ বছরের এক মেয়ে শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেছে। তবে ৮ এবং ৯ বছরের আরও অনেক শিশুই ধ্বসে পড়া ঘরবাড়ির নিচে চাপা পড়ে মারা গেছে।
ভূমিকম্পে দেশটির মধ্যাঞ্চলের পার্বত্য এলাকাগুলোর শহর ও গ্রামগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর তেমন ক্ষতি হয়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো অ্যাকুমোলি, আমাত্রিসি, পোস্তা এবং আরকুয়াটা দেল টরোনটো। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভোররাতে প্রবল ঝাঁকুনিতে ভূমিকম্প উপকেন্দ্রের ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রাজধানী রোমের বাসিন্দাদের ঘুম ভেঙে যায়।
সময় গড়িয়েযেতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তুপ থেকে আরও মানুষকে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসতে থাকলেও দমকল বাহিনীর মুখপাত্র বলছেন, লা একুইলায় ভূমিকম্পের ৭২ ঘন্টা পরও জীবিত মানুষ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।