ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের শেষ মুহূর্তের চমকের অপেক্ষায় রয়েছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সদস্যরা। চলতি বছর সৌদি সরকার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৭শ ৫৮ জনকে হজে পাঠানোর কোটা নির্ধারণ করে দিলেও প্রাক-নিবন্ধন করেছেন অতিরিক্ত ৪০ হাজার যাত্রী।
হাবের একজন শীর্ষ দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাগোনিউজকে জানান, তারা রমজান মাসে ইফতার অনুষ্ঠানে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে অতিরিক্ত ১০ হাজার হাজি পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ধর্মমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
ধর্মমন্ত্রী তাদের অনুরোধ রক্ষায় প্রচেষ্টা চালাবেন বলে আশা দিয়েছিলেন। ধর্মমন্ত্রীর উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত সৌদি সরকার অতিরিক্ত ১০ থেকে ১১ হাজার যাত্রী পাঠানোর অনুমতি দিতে যাচ্ছেন বলে তারা সৌদিআরব সূত্রে শুনেছেন, তবে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাননি।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, সৌদি সরকারের সঙ্গে ধর্মমন্ত্রী এখনও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ হজ ব্যবস্থাপনায় দুইবার প্রথম স্থান অধিকার করায় সৌদি সরকার বাংলাদেশের পারফর্মেন্সে সন্তুষ্ট। তাই শেষ মুহূর্তে ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ধর্মমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি কোনো জবাব না দিলেও জানান, গত বছর শেষ মুহূর্তে অতিরিক্ত ৫ হাজার হজযাত্রী প্রেরণের অনুমতি দিয়েছিল সৌদি সরকার। এ বছরও তিনি অতিরিক্ত ১০ হাজার হজযাত্রী প্রেরণের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শেষ মুহূর্তে অনুমোদন পেলে বাড়িভাড়াসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে কি না- জানতে চাইলে ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রাক-নিবন্ধনের কাজ তো হয়ে আছে। যতটুকু সময় পাওয়া যাবে ততটুকু সময়ের মধ্যে সার্বিক ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করে হাজি পাঠানোর ক্যাপাসিটি মন্ত্রণালয়ের রয়েছে। তবে বুধবার পর্যন্ত অনুমতি পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
হাবের সভাপতি ইব্রাহিম বাহার এ প্রসঙ্গে বলেন, ঘোষণা আসার ব্যাপারে তারা আশাবাদী। এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি।