1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন

বাড়ি যাওয়ার কথা বললেই নির্যাতন করা হতো শিশুটিকে

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৬
  • ২৮০ বার

দিনাজপুরে মো. ইয়াছিন (১০) নামে এক নির্যাতিত শিশুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। উদ্ধারের পর তাকে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নিয়ে আসলে নিরাপত্তার অভাবে তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

শুক্রবার রাত ৯টায় দিনাজপুর সুইহারী মাইক্রোস্ট্যান্ড থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। দিনাজপুর কোতয়ালী থানার এস আই বিশ্বনাথ দাশ গুপ্ত শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। মো. ইয়াছিন ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার চর আনন্দপুর গ্রামের মো. বাবুলের ছেলে। তার মায়ের নাম মোছা শিরিন বেগম।

কোতয়ালী থানার এসআই বিশ্বনাথ দাশ গুপ্ত জানান, রাজু নামে এক ব্যক্তি দিনাজপুর সুইহারী মাইক্রোস্ট্যান্ডে মো. ইয়াছিন নামে এক শিশুকে আহত অবস্থায় প্রায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ ছেলেটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

উদ্ধার হওয়া শিশুটির দেয়া তথ্য মতে, দিনাজপুর শহরের পুলিশ লাইন সংলগ্ন ইসলামবাগ বেলতলা নামক এলাকার এ্যাড. মো. ফারুক হাসান মিনহাজুল আবেদীনের স্ত্রী মোছা. রেনা পারভীন বাবার বাড়ী ময়মনসিংহ থেকে মো. ইয়াছিনকে কাজের জন্য ৪ মাস আগে নিয়ে আসেন। ইয়াছিন এখানে আসার পর থেকে তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের শিকার শিশুটি বাড়ী থেকে পালিয়ে দিনাজপুর সুইহারী মাইক্রোস্টান্ডে আসে। উদ্ধারের সময় ইয়াছিনের মাথার চুল ছেড়া এবং সারা শরীর জুড়ে ক্ষত চিহৃ দেখা যায়।

শিশুটি জানায়, রেনা পারভীন তার মাথার চুলগুলো টেনে টেনে ছিড়ে ফেলেছে। কারণে অকারণে তাকে লাঠি দিয়ে পায়ে হাতে মারধর করা হত। ছেকা দেয়া হতো গরম খান্দ, চামুচ ইত্যাদি দিয়ে। দিনের পর দিন না খাইয়ে রাখা হতো। বাড়ি যাওয়ার কথা বললেই নির্যাতন করা হতো তাকে। যখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন তার মাথা দিয়ে রক্ত ঝড়ছিল।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বিপুল চন্দ্র রায় জানান, শিশুটির শারীরিক ভাবে খুব দুর্বল হয়ে পড়েছে। উন্নত চিকিৎসা এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার শরীরে নতুন পুরাতন অনেক আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

কোতয়ালী থানার ওসি রেদওয়ানুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক যুবক মোবাইলে সংবাদ দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। শিশুটির দেওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই বাচাইয়ের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog