পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে তিন মাসের জন্য অথবা ওই মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকতে পারবেন।
জামিন খারিজ করে দেওয়া হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শফিক রেহমানের করা আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেয়।
আদালতে শফিক রেহমানের পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আদেশের পর এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, “উনাকে তিন মাসের জামিন দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে পাসপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।”
তার জুনিয়র একজন আইনজীবী বলেন, শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় ‘তার মুক্তিতে এখন বাধা নেই’।
জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে ‘অপহরণের লক্ষ্যে’ তার সম্পর্কে তথ্য পেতে এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ায় দেশটির আদালতে গত বছর প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলের কারাদণ্ড হয়। সেই রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় করা এক মামলায় গত ১৬ এপ্রিল যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিএনপিঘনিষ্ঠ এই সম্পাদককে। ওই বাসায় তল্লাশি চালিয়ে জয় সংক্রান্ত কিছু তথ্য ও গোপনীয় নথিপত্র পাওয়া গেছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের দাবি।
অন্যদিকে শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমানের দাবি, ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিক’ হিসেবে নিবন্ধ লেখার জন্যই তার স্বামী ওই তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন।
এ মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন না মঞ্জুর হলে শফিক রেহমান হাই কোর্টে আবেদন করেন, যার ওপর শুনানি শেষে ৭ জুন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাই কোর্টের বেঞ্চ তার খারিজ করে দেয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ১৭ জুলাই আপিলের অনুমতি পান তিনি।