প্রতিবেদক : ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্য নির্বিঘ্নে চলাচলের ব্যবস্থা করার নির্দেশ চার বছরেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় চার থানার ওসির বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. কাজী ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এই আদালত অবমাননার রুল জারি করে। পুলিশের চার কর্মকর্তা হলেন- বংশাল থানার ওসি নুর-ই আলম সিদ্দিকী, সুত্রাপুর থানার আশরাফ উদ্দিন, কোতোয়ালি থানার আবুল হাসান ও শাহবাগ থানার আবু বকর সিদ্দিকীকে আগামী ২ সপ্তাহের মাধ্যে তাদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ্যডভোকেট মনজিল মোরসেদ রোববার চার ওসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার এই অভিযোগ আনেন। সোমবার আদালতে তিনি নিজেই শুনানি করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের পরও দখলমুক্ত হয়নি রাস্তা ও ফুটপাত। এ বিষয়ে চার থানার ওসিকে লিগ্যাল নোটিস দেওয়া হলেও জবাব আসেনি। এ কারণেই আদালত অবমাননার মামলা।’
ঢাকা জজ কোর্টের বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে দুই আইনজীবী ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।
ওই আবেদনের শুনানি করে জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত রাস্তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বিঘ্ন করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ।
আদেশে বলা হয়, জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ফুটপাত বা রাস্তা রাস্তার ওপর বালু, রড বা যে কোনো পণ্য রাখা, ভ্যানগাড়ি বা ঠেলাগাড়ি পার্ক করা, রাস্তার পাশের দোকানের পণ্য ফুটপাত বা রাস্তায় রাখা এবং ফুটপাতে দোকান, ফেরিওয়ালা ও ফলের দোকান বসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক), উপকমিশনার (দক্ষিণ), ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের প্রশাসক, ঢাকার জেলা প্রশাসক এবং বংশাল, কোতোয়ালি, সূত্রাপুর ও রমনা থানার ওসিকে ওই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।