প্রতিবেদক : যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ব্যাপারে ট্রাম্পের বক্তব্য তার ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশে প্রথমে অস্থায়ী ও পরে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলেন ট্রাম্প।
ওয়েবসাইটের যে পেইজে এই বক্তব্যটি ছিল সেখানে গেলে এখন রিডাইরেক্ট করে ট্রাম্পের নির্বাচনী তহবিলে অর্থ দেয়ার আহ্বান জানানো পেইজটিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ওয়েবসাইট ‘ক্যাশ’ থেকে দেখা যাচ্ছে গত ৮ নভেম্বর ভোটের দিন সকালেও ওই পেইজটি ছিল। সেদিন রাতে পেইজটি বাদ দিয়ে সেখানকার ওয়েব ট্রাফিককে রিডাইরেক্ট করে দেয়া হয়।
ওয়েব্যাক ম্যাশিনের মতো ক্যাশ ওয়েবসাইটে কিছু সময় পর পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঢুকে ওয়েবসাইটের পেইজগুলোর একটি কপি রেখে দেয়। এর মাধ্যমে ওয়েব সাইটে পরিবর্তনের সুনির্দিষ্ট সময় জানা না গেলেও, ধারনা করা যায় কোন সময়ের মধ্যে পরিবর্তনটি ঘটানো হয়েছে।
গত বছর নভেম্বরে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর ট্রাম্পের মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য বিশ্বজুড়ে সমালোচনা তৈরি করে। ‘আসল সমস্যা চিহ্নিত না হওয়া পর্যন্ত’ মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।
তীব্র সমালোচনার পরও ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা এই দাবির সমর্থনে বক্তব্য দিতে থাকেন। তারা যুক্তি দেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিরাপত্তা’ বিবেচনা করে এই কথা বলা হয়েছে, ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য তৈরি করতে নয়।
ওয়েবসাইট থেকে ট্রাম্পের বক্তব্যটি সরিয়ে ফেলা হলেও, পরবর্তীতে এই বক্তব্যের সমর্থনে যেসব বক্তব্য দেয়া হয়েছে সেগুলো এখনও সেখানে রয়েছে। এ ব্যাপারে ট্রাম্প শিবিরের কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ওয়েবসাইট থেকে পেইজ মুছে ফেলার ঘটনা এর আগেও ঘটিয়েছে ট্রাম্পের দল। ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করতে পারেননি এমন গুঞ্জন তৈরি হওয়ার পর মেলানিয়ার সংক্ষিপ্ত জীবনী ওয়েবসাইট থেকে বাদ দিয়েছিল তারা।