প্রতিবেদক : রিজার্ভ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হওয়া দেড় কোটি ডলার ফেরত দিয়েছে ফিলিপিন্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজি হাসান এই তথ্য জানিয়ে বলেন, “আমাদের অ্যম্বাসেডার অর্থ গ্রহণ করেছেন।
“এটার প্রসেসিং চলছে। সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে এটা আমাদের রিজার্ভে যোগ হবে।”
ফিলিপিন্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ আগেই জানিয়েছিলেন, একটি ক্যাসিনোর মালিক কিম অং এবং তার ইস্টার্ন হাওয়াই লেজার কোম্পানির ফেরত দেওয়া দেড় কোটি ডলার ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গচ্ছিত ছিল।
ক্যাসিনো মালিক অং দুই দফায় এক কোটি ডলারের বেশি ফেরত দেন, যা তিনি দুইজন চীনা জুয়াড়ির কাছ থেকে নিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন।
গত সেপ্টেম্বরে ফিলিপিন্সের আদালত বাংলাদেশ ব্যাংককে এই দেড় কোটি ডলারের মালিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপরই অর্থ ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় এক বিলিয়ন ডলার সরানোর চেষ্টা হয়।
এর মধ্যে চারটি মেসেজের মাধ্যমে ফিলিপিন্সের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকে (আরসিবিসি) সরিয়ে নেওয়া হয় ৮১ মিলিয়ন ডলার। আর একটি মেসেজের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।
রিজল ব্যাংকে যাওয়া টাকার একটি বড় অংশ পরে ফিলিপিন্সের জুয়ার টেবিলে চলে যায়।এর মধ্যেক্যাসিনো মালিকের ফেরত দেওয়া দেড় কোটি ডলার পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করতে অগাস্টে ম্যানিলা গিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি দল।