প্রতিবেদক : ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১৩টি স্থাপনা সরকার শিগগিরই উচ্ছেদ করবে বলে জানিয়েছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে রোববার সচিবালয়ে নৌমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভা শেষে নৌমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “নদীর অনেক অবৈধ স্থাপনা যেগুলো চিহ্নিত হয়েছে সেগুলেো পর্যায়ক্রয়ে উচ্ছেদে কাজ শুরু করেছি। আমরা ১৩টি স্থাপনা আজ নির্ধারণ করলাম, খুব দ্রুত সেগুলো অপসারণ করব।”
তবে কোন নদীর কোন স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়েছে তা না জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, যত শক্তিশালী ব্যক্তিই হোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালাব।
“এখানে (সভায়) কয়েকটি নাম (দখলদার) এসেছে। ১৩টির মধ্যে বড় বড় স্থাপনা আছে, আমরা সেগুলো উচ্ছেদ করব। এমনও হয়েছে যে শত কোটি টাকার ইন্ড্রাস্টি অপসারণ করে দিয়েছি।”
বিভিন্ন নদীতে বসানো সীমানা পিলার নিয়ে আপত্তি নিরসনে নকশা প্রয়োজন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে নকশা সংগ্রহ করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হবে। তারা ওই নকশার ভিত্তিতে সীমানা নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।
“সীমানা পিলারকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গায় নতুন করে অবৈধভাবে দখলের প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নদীর দুই পাড়ে যেসব জমির মালিক বা বাসিন্দা আছে ওই এলাকায় পরিপত্র জারি করে নির্দেশনা দেওয়া হবে পুনরায় জরিপকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব এলাকায় মাটি ভরাট বা কোনো ধরনের স্থাপনা করা যাবে না।”
নদীতে বসানো সীমনা পিলারের অনেকগুলো সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, পিলারের উপরের যে লোহার পাইপ কেটে নেওয়া হয়েছে। সীমানা পিলার আরও শক্তভাবে করে উপরের অংশটুকু কংক্রিটে ঢালাই করে দেওয়া হবে।
নদীর পাড়ে যেসব জায়গার খাজনা বিআইডব্লিউটিএ দেয়, অনেক ব্যক্তি ওই জমির দাবি নিয়ে তহসিল অফিসে গিয়ে খাজনা দিয়ে থাকে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাদের খাজনা যেন না নেওয়া হয় সেজন্য তহসিলদারদের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
উচ্ছেদ হওয়া জমির পুনর্দখল ঠেকাতে স্থানীয় জনগণকে নিয়ে কমিউনিটি কমিটি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে যে কর্মকর্তারা থাকবেন, তারাও নিয়মিত এসব জায়গা পরিদর্শন করবেন।
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌ সচিব অশোক মাধব রায় ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সভায় উপস্থিত ছিলেন।