1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha :
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গ্রামে সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত ২৫

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬
  • ২১৯ বার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের অশান্ত রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলীয় রোহিঙ্গা গ্রামে গুলি করে ২৫ জনকে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। রোববারের এ ঘটনায় নিহতরা রামদা ও মুগুরের মতো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিল বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী, খবর বিবিসির।

শনিবার রাখাইনের রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে হেলিকপ্টার গানশিপ নিয়ে হামলা চালায় সেনাবাহিনী। এর আগে সেনাবাহিনীর ওপর সশস্ত্র ব্যক্তিদের চোরাগোপ্তা হামলায় দুই সেনা নিহত হন, সেনাবাহিনীর পাল্টা হামলায় ছয় হামলাকারীও নিহত হন।

হামলাগুলো সশস্ত্র জঙ্গিদের লক্ষ্য করে চালানো ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ বলে দাবি করেছে সেনাবাহিনী।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “রোববার রোহিঙ্গারা ১৩০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, ভুলবুঝাবুঝি ও উত্তেজনা তৈরি করতে এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা পেতে তারা এগুলো করেছে।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, নিহতদের মধ্যে শিশু ও নারীরাও রয়েছেন।

ওই দুই দিনে শত শত গ্রামবাসীকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।

বিবিসি বলেছে, রাখাইন রাজ্যে স্বাধীন গণমাধ্যমের কোনো প্রবেশাধিকার না থাকায় সরকারি হিসাবগুলোকে সন্দেহের চোখেই দেখতে হবে।

নিজের বিশ্লেষণে বিবিসির রেঙ্গুন প্রতিনিধি বলেছেন, “সেনাবাহিনীর দেওয়া বিবৃতিতে যদি আপনি বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনাকে মানতে হবে, আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত সেনাদের ওপর রোহিঙ্গা পুরুষরা ‘কাঠের মুগুর ও রামদা’ নিয়ে হামলা চালিয়েছে।

“আপনাকে এও মানতে হবে, রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের ঘরবাড়িতে নিজেরাই আগুন দিয়েছে এবং সচেতনভাবে নিজেদের গৃহহীন করেছে।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের দেওয়া ভাষ্যে পুরো ভিন্ন বর্ণনা পাওয়া গেছে। তবে এর আগে রোহিঙ্গারাও ঘটনা অতিরঞ্জিত করায় তাদের বর্ণনাও সন্দেহের চোখে দেখতে হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

তাদের পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, নারী ও শিশুদের মৃতদেহ পড়ে আছে এবং জ্বলন্ত ঘরবাড়ি ছেড়ে লোকজন পালাচ্ছে। কয়েকটি ছবিতে মাথার ওপর হেলিকপ্টার গানশিপ দেখা যাচ্ছে। এগুলোর কয়েকটি অবশ্যই সঠিক বলে মন্তব্য করেছে বিবিসি।

রাখাইন রাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনী দেশটির নেত্রী অং সান সু-চির নিয়ন্ত্রণে নেই, সেনাবাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সু চি এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চুপ রয়েছেন। ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের জন্য কূটনীতিকদের দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।

 

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Mohajog