প্রতিবেদক : গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে চালকসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও নয়জন। নাওজোর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. এমরান হোসেন জানান, শনিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পশ্চিম পাশের এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন লেগুনা চালক গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের কৈলা গ্রামের মোতালেব মাতুব্বরের ছেলে সুজন (২০), যাত্রী নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের আবদুল হাসিমের ছেলে আবুল হোসেন (৫০), শেরপুরের নালিতাবাড়ির ভূরুঙ্গা গ্রামের মোহাম্ম্দ আলীর ছেলে মো. উকিল মিয়া (৪৫), সুনামগঞ্জের সালনার গোবিন্দ্রপুর গ্রামের তুলসি দাসের ছেলে প্রাণনাথ দাস (৩৮), তার চাচাত ভাই বকুল চন্দ্র দাস (৩৫) ও জামালপুরের বকশিগঞ্জের নিলইক্ষ্যা গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগম (৪৫)।
আহতদের মধ্যে দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, একজনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতাল এবং আরেকজনকে গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।
এসআই এমরান বলেন, গাজীপুরগামী লেগুনার সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা বাসের সংঘর্ষ হলে লেগুনাটি দুমড়ে-মুচড়ে চালকসহ ছয়জন নিহত হয়।
ওই এলাকার পরিবহন শ্রমিক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. নাজির উদ্দিন বলেন, টাঙ্গাইলগামী মুমু পরিবহনের একটি বাস ঘটনাস্থলে রাস্তার পাশে দঁড়িয়ে যাত্রী তুলছিল। “এ সময় গাজীপুরগামী যাত্রীবাহী ওই লেগুনাটি সামনে থাকা অপর একটি বাসকে পাশ কাটাতে গেলে মুমু পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।”
পরে পুলিশ ও এলাকাবাসী হতাহতদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, এক নারীসহ ছয়জনকে মৃত এবং নয়জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
সালনা হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ হোসেন সরকার জানান, দুর্ঘটনার বাসটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। লেগুনাটি ছিল আনফিট ও মেয়াদোত্তীর্ণ; যা মাইক্রোবাস কেটে তৈরি করা হয়েছে।