প্রতিবেদক : আশকোনার পূর্বপাড়ার সূর্য ভিলায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত আফিফ কাদরীর মৃত্যু হয়েছে গুলিতে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ এ কথা জানিয়েছেন। সোমবার বেলা দেড়টা থেকে দুইটা পর্যন্ত তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে আশকোনার পূর্বপাড়ার সূর্য ভিলায় জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানের সময় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। একদিন পর রোববার সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ বলছে, ১৪ বছর বয়সী আফিফ আজিমপুর অভিযানে নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরীর যমজ দুই ছেলের একজন।
চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ জানিয়েছেন, আফিফ কাদরীর চুল ও দাঁতের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে আফিফ কাদরী কোনো উত্তেজক কিছু বা কোনো ওষুধ সেবন করেছে কি না, তা জানতে তার রক্ত ও মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে রাজধানীর আজিমপুরে আত্মঘাতী সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা তানভীর কাদরী ও তাঁর ছেলে আফিফ কাদরীর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তার বাবা তানভীর কাদরী রাজধানীর আজিমপুরে পুলিশের অভিযানের সময় আত্মঘাতী হন।
তানভীর কাদরীর স্ত্রী আবেদাতুল ফাতেমা (আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত) এখন কারাগারে। তানভীর-ফাতেমা দম্পতির অপর যমজ ছেলে আজিমপুরে ওই অভিযানে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছে।
সোমবার ময়নাতদন্তের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেন, “তার শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। গুলির কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই কিশোরের শরীরে কোনো স্প্লিন্টার বা বিস্ফোরণের ক্ষত তিনি দেখেননি।
ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ছেলেটির থাই মাসল, চুল ও দাঁত এবং ভিসেরা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক।