1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৮:১৯ অপরাহ্ন

সমালোচকদের কাছে শিক্ষার মানের ‘ব‌্যাখ‌্যা’ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬
  • ১৭৪ বার

প্রতিবেদক : দেশের শিক্ষার মান নিয়ে যারা সমালোচনা করে আসছেন, তাদের কাছে ‘মানের’ ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের জন‌্য বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে শনিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “পড়াশোনার মান নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, তাদের বলব এক দিনে সব কিছু হয়ে যায় না।

“মানের মাত্রাটা কী? সেটার ব্যাখ্যা এখনো পাইনি। যারা প্রশ্ন তোলেন তাদের কাছ থেকে মানের মাত্রাটা যদি পেতাম…।

অষ্টমের সমাপনী, অর্থাৎ জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় এবার ৯৩.০৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে; জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮৮ জন ছাত্র-ছাত্রী।

আর পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনীতে ৯৮.২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে; তাদের মধ‌্যে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৬ জন পেয়েছে জিপিএ-৫।

এ দুটি পর্যায় ছাড়াও মাধ‌্যমিক ও উচ্চ মাধ‌্যমিকে পাসের হার ও পূর্ণ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ‌্যা প্রতি বছর বাড়লেও তাতে শিক্ষার মান আসলে বাড়ছে কি না সে প্রশ্ন তুলে আসছেন অনেকেই। সমালোচকদের মতে, পরীক্ষায় এখন আর মেধা যাচাই হয় না, এটা ‘গণহারে পাসের’ বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

এই সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তারা যদি ভলান্টারি সার্ভিস দিতেন; কোন কোন এলাকায় মাত্রা ঠিক নেই… সেখানে গেলেন, দেখলেন, একটু পড়ালেন, সময় খরচ করলেন। তাহলে আমরা খুশি হতাম।”

পরিবর্তনশীল বিশ্বে মানও ‘সব সময় পরিবর্তনশীল’ মন্তব‌্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “একটা কথা বলে ফেললেই হবে না। সেটা কীভাবে কার্যকর করা যায়… আর, কার্যকর করায় সহযোগিতা করা উচিত বলে আমি মনে করি। আমরা চাই মনের বিকাশ, মেধার বিকাশ ও মননের বিকাশ।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সরকার ২২৫ কোটি ৪৫ লাখ বই বিনামূণ‌্যে শিক্ষার্থীদের মধ‌্যে বিতরণ করেছে। বছরের প্রথম দিন তাদের হাতে বিনামূল্যের বই তুলে দিতে পারার আনন্দ অন‌্য রকম।

“নতুন বই পেলে আনন্দের অনুভূতি হয়। সুন্দর এই অনুভূতি পড়ালেখার আগ্রহ বাড়ায়। এ জন্যই আমরা প্রতিবছর সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিই।”

২০১৭ সালের প্রথম দিন রোববার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎসবের মধ্য দিয়ে চার কোটি ৩৩ লাখ ৫৩ হাজার ২০১ জন শিক্ষার্থীর হাতে এবার ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার বই ও শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া হবে। দুই মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ঢাকায় হবে দুটি কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান।

এ বছর সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মধ‌্যে নয় হাজার ৭০০টি ব্রেইল বই বিতরণ করা হবে। এছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের দেওয়া হবে নিজেদের ভাষায় প্রাক-প্রাথমিকের ৫১ হাজার ৭৮২টি বই এবং ২৫ হাজার ২১৮টি শিক্ষা উপকরণ।

এবার যা কিছু নতুন

>> প্রথমবারের মত নয় হাজার ৭০০টি ব্রেইল বই পাবেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা।

>> চাকমা, মারমা, সাদ্রী, ত্রিপুরা ও গারো ভাষায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুরা পাবে প্রাক-প্রাথমিকের ৭৭ হাজার বই ও শিক্ষা উপকরণ।

>> প্রাথমিকের ১১ কোটি ৫৫ লাখ ২৬ হাজার ৯৪২টি পাঠ্য বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ছাপানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বই বিতরণের ছবি।

>> প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব শিক্ষক পাবেন নির্দেশিকা।

গণভবনের এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের কয়েকজন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পুস্তক তুলে দেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী তার দুই নাতনী শ্যামা (সায়মা হোসেন পুতুলের মেয়ে) এবং তানিতার হাতে প্রথম শ্রেণির বই তুলে দেন।
তিনি বলেন, “বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার আরেকটি কারণ আছে। অনেক বাবা-মা তাদের ছেলে-মেয়েদের বই কিনে দিতে পারে না। অনেকে অবহেলার কারণেও বই কিনে দেয় না। তাই বছরের প্রথম দিন আমরা তাদের হাতে বই তুলে দিই, যাতে সন্তানদের পড়ালেখার জন্য বাবা-মায়ের কোনও অজুহাত না থাকে।”

শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে নিজের অবস্থান ও যুক্তি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ভীতি দূর হয়। তাছাড়া আগে বাছাই করে কয়েকজনকে বৃত্তির জন্য আলাদাভাবে পড়ানো হত। এখন সেই বৈষম্য দূর হয়েছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার লাল-সবুজের ওপর বর্ণমালা ছাপা দুটি উত্তরীয় প্রধানমন্ত্রীকে পরিয়ে দেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ছবি তোলা হয়।

বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্প্রচার উদ্বোধন

বই বিতরণ কর্মসূচির এই অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ‌্যমে চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির ৫১তম ব্যাচের গ্র্যাজুয়েশন প্যারেডের সালাম গ্রহণ করেন এবং বক্তব্য দেন।

এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আগে বক্তব্য দেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। চট্টগ্রাম থেকে কথা বলেন মেরিন একাডেমির কমান্ড‌্যান্ট সাজিদ হোসেন।
প্রধানমন্ত্রী মেরিন একাডেমির বেশ কিছু প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন।

এছাড়া গণভবণ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ‌্যমে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সময় বাড়ানোর কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্র এখন থেকে দিনে দেড় ঘণ্টার বদলে ছয় ঘণ্টা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।

এ ভিডি কনফারেন্সে চট্টগ্রাম থেকে কথা বলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ, চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ এবং চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাসির।

নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্প্রচার ২৪ ঘণ্টা করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর উন্নতির ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি চ্যানেলগুলো সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের খবর জনগণের কাছে ঠিকমত তুলে ধরতে পারছে না।

পিআইবিতে সাংবাদিকতায় মাস্টার্স কোর্স প্রবর্তন করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।

ঢাকা থেকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog