প্রতিবেদক : আচার-আচরণ, মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে ছাত্রলীগকে সুনাম ধরে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অপারাজেয় বাংলার সামনে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে ছাত্রলীগকে সুনামের এই ধারায় থাকার শপথ নিতে হবে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে ছাত্রলীগকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেতাদের পরিচয় আচার-আচরণ, মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে। অনুপ্রবেশকারী পরগাছাদের ছাত্রলীগে চাই না। তারাই ছাত্রলীগের এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রধান বাধা। তাদের চিহ্নিত করতে হবে। কমিটি গঠন করার সময় তারা যেন পদ না পায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এসব পরগাছারাই বিভিন্ন বিতর্কমূলক কাজ করে। আর বদনাম হয় শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগের।’
তিনি আরও বলেন, ‘কমিটিতে ত্যাগীরা যেন বাদ না পরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ছাত্রলীগে যেন ভিন্ন ভিন্ন ধারার কমিটি না হয়। ছাত্রলীগ যেন কারও ভাইয়ের পকেট কমিটি না হয়। ছাত্রলীগ ভাইয়ের বা নেতাদের হাতিয়ার না হয়। এটা চলতে দেওয়া হবে না।’
আওয়ামী লীগের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। এটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা। সংগঠনের কেউ যদি অপকর্ম করে তার বিরেদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তাদের পুলিশে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমস্যা করা চলবে না, এটা হতে দেওয়া হবে না।’
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে র্যালিকুমিল্লা মেডিক্যাল ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এসব বিষয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য বলেছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলবে না, বন্ধও চলবে না। ডাকসুসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে শিক্ষামন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আজ যদি ছাত্র সংসদের নির্বাচন হতো, গত ২৫ বছরে ৫০ জন নেতা বের হতো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঝামেলাও হতো না। ভোটের কথা চিন্তা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেতারা এসব ঝামেলা করতো না। তারা নিজেরাই সংশোধন হয়ে যেতো। সততা, মেধা ও যোগ্যতায় ছাত্রলীগকে মডেল হতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের অনুসরণ করতে হবে। তবেই ছাত্রলীগ যোগ্য হয়ে উঠবে।’
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। এছাড়াও ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে একটি বিজয় র্যালি বের করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। র্যালিটি শাহবাগ, মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব, পল্টন হয়ে ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ব্যবহার করা হয়।