1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থন ১২ জানুয়ারি

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ২৬৮ বার

প্রতিবেদক : খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদনে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব‌্য উপস্থাপন আবারও পিছিয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার এ মামলায় খালেদার বাকি বক্তব‌্য উপস্থাপনের জন‌্য ১২ জানুয়ারি নতুন তারিখ ঠিক করে দিয়েছেন।

এছাড়া জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ‌্যগ্রহণ শেষ হয়ে গেলেও খালেদার আইনজীবীদের আবেদনে নতুন করে প্রথম তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বিচারের শেষ প্রান্তে থাকা এ দুই মামলার শুনানি চলছে ঢাকার বকশীবাজারে বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে। খালেদা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে পৌঁছানোর পর প্রথমেই দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।

তার পক্ষে আদালতে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মাহাবুবউদ্দিন খোকন, আব্দুর রেজাক খান, এজে মোহাম্মদ আলী, সানাউল্লাহ মিয়াসহ অন‌্যরা। দুদকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।

গত ১ ডিসেম্বর এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন খালেদা। ওই ট্রাস্টের তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের এ মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে সুবিচার চান তিনি।

এরপর মামলার কার্যক্রম স্থগিতের জন্য হাই কোর্টে আবেদন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন। শপথ আইন ‘না মানার’ কারণ দেখিয়ে ৩২ জনের সাক্ষ্য নতুন করে নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয় ওই আবেদনে।

১৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে সাফাই সাক্ষী দেওয়ার জন্য ২২৫ জনের তালিকা আদালতের কাছে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু খালেদা পর পর দুটি ধার্য দিনে উপস্থিত না হওয়ায় তার অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি পিছিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার খালেদার আইনজীবীরা হাই কোর্টে তাদের আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকার কথা জানিয়ে শুনানি পেছানোর আবেদন করলে কাজল এর বিরোধিতা করেন।

পরে বিচারক নতুন তারিখ ঠিক করে দিয়ে এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি শুরু করেন।

গত ২৯ ডিসেম্বর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন‌্য ৫ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দেন বিচারক।

বৃহস্পতিবার খালেদার আইনজীবী রেজাক খান আদালতে বলেন, এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের নূর উদ্দিন আহমেদ তার প্রতিবেদনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগের কথা বলেননি। কিন্তু তার সাক্ষ‌্যগ্রহণ না হওয়ায় জেরাও করা যায়নি।

এই যুক্তি দেখিয়ে আসামিপক্ষ দুদক কর্মকর্তা নূর উদ্দিনের সাক্ষ‌্য‌ নেওয়ার আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। এ বিষয়ে সমন জারি করে করে নূর উদ্দিনের সাক্ষ‌্য‌ নেওয়ার জন‌্য ১২ জানুয়ারিই দিন রাখেন তিনি।
জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলা
জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন- বিগত চারদলীয় জোট সরকার আমলে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তৎকালীন একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।

এ মামলায় মোট ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আসামিদের মধ্যে জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে দুদক ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

তার পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান আছেন দেশের বাইরে।

এছাড়া সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog