আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জামাতা জ্যারেড কুশনারকে তার অন্যতম শীর্ষ উপদেষ্টা বানিয়েছেন। বিবিসি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের নতুন এই চাকরিতে কুশনারকে একইসঙ্গে অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণে কাজ করতে হবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্পের স্বামী কুশনার ট্রাম্প শিবিরের নীতি নির্ধারণে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেন। ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি একজন আবাসন ব্যবসায়ী। ভোটের প্রচারের দিনগুলোতে তিনি ক্রমশ পরিচিত হয়ে উঠেন ট্রাম্প শিবিরের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে। রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়া থেকে শুরু করে ট্রাম্পকে নির্বাচনী বৈতরণী পার করা পর্যন্ত বহুমুখী দায়িত্ব তিনি পালন করেছেন।
কুশনারের এই নিয়োগ ঘোষণার পরপরই আপত্তি তোলে ডেমোক্রেটরা। নেপটিজম (স্বজনপ্রীতি) আইনের উল্লেখ করে এই নিয়োগ ওই আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের জুডিসিয়ারি কমিটি, বিচার বিভাগ এবং অফিস অব দ্য গভর্নমেন্ট এথিকস-কে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ট্রাম্পের টিমের সদস্যরা পাল্টা যুক্তি তুলে ধরে বলেছেন, হোয়াইট হাউসের কোনো পদের ক্ষেত্রে নেপটিজম আইন প্রয়োগ করা যায় না।
১৯৬৭ সালে করা এই আইন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কোনো আত্মীয়কে মন্ত্রী বানাতে পারেন না, কিন্তু উপদেষ্টার মতো মন্ত্রীসভার বাইরের কোনো পদের ক্ষেত্রে আইনটি খাটবে কিনা তা পরিষ্কার নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এথিকস আইন অনুযায়ী সরকারি দায়িত্বে থাকা কেউ কোনো ব্যবসা থেকে লাভবান হতে পারবে না। এ বিষয়ে কুশনারের আইনজীবী জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের চাকরিতে ঢুকলে কুশনার পরিবারের আবাসন ব্যবসার শীর্ষ পদ ছেড়ে দেবেন।
নিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার সময় ট্রাম্প তার জামাতাকে ‘অসাধারণ সম্পদ’ বলে অভিহিত করেন। কুশনারকে তার প্রশাসনে একটি ‘শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকায়’ নিয়োগ দিতে পেরে গর্ববোধ করছেন বলে জানান।
২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিবেন ট্রাম্প।