1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন

ছাত্রলীগকে সন্ত্রাস ও মাদক থেকে দুরে থাকার আহবান শেখ হাসিনার

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ২২৮ বার

প্রতিবেদক : সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে দূরে থাকতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সরকার বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রার সূচনা করেছে তা এগিয়ে নিতে সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিজেদের প্রস্তুত করতে বলেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “ছাত্রলীগকে বলব- মাদকাসক্তি আর সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকতে হবে।

“আর এরপরেও যারা যাবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব; তাতে কোনো সন্দেহ নেই।”

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকালে এই সমাবেশে ছাত্রলীগের শ্লোগান উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শিক্ষার আলো জ্বেলে প্রগতির পথে, শান্তির পথে এগিয়ে যেতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আলোর পথে যাত্রা আমরা শুরু করেছি। তা যাতে থেমে না যায় সেজন্য ছাত্রলীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীকে নিজেদের তৈরি করতে হবে।”
শিক্ষায় মনোনিবেশের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষাই পারে একটি জাতিকে দারিদ্র্যমুক্ত জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে।

“ছাত্র রাজনীতি করব। কিন্তু শিক্ষা গ্রহণ করাটাই সব থেকে বড় কাজ। শিক্ষাই সব থেকে বড় সম্পদ। শিক্ষা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। শিক্ষাই হবে চলার পথে সব থেকে বড় পাথেয়।”

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে ছাত্রলীগের সক্রিয়তা প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জঙ্গিবাদ একটি নতুন উৎপাত শুরু হয়েছে।

“মাদক একটি পরিবারকে শেষ করে দেয়।”

জঙ্গিবাদ নিয়ে তিনি বলেন, “ইসলাম ধর্মে মানুষ খুন করার কথা বলেনি। আত্মঘাতী হলে দোজখে যেতে হবে। আত্মঘাতী হয়ে কেউ বেহেশতে যেতে পারবে না।”

ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, “তারা কীসের আশায় জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়াচ্ছে?
“বেহেস্তে যারা গেছে, তারা কি বেহেস্তে গিয়ে খবর পাঠিয়েছে?”

যুদ্ধাপরাধের বিচারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সেই অন্ধকারের দিন আমরা পার করে এসেছি।”

যারা যুদ্ধাপরাধীদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, তাদেরও বিচারের আওতায় আনার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

“যারা এদের মদদ দিয়েছে,তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হতেই হবে,” বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “শেখ হাসিনা এখন রাষ্ট্রনায়ক; এটা আমাদের বুঝতে হবে।

“উনি পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে ভাবেন না, উনি পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন।”
ছাত্রলীগের সদস্যদের উদ্দেশ্যে সংগঠনের সাবেক সভাপতি কাদের বলেন, “ছাত্রলীগের আচরণে নেত্রীর অর্জন যেন ম্লান হয়ে না যায়। আমরা খারাপ খবরের শিরোনাম হব না।”

কর্মসূচি পালনে যাতে নগরবাসীর ভোগান্তি না হয় সেদিকে লক্ষ রাখার পরামর্শ দিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা রাস্তা বন্ধ করতে যাব না। বিকল্প পথ বের করব।”

এরপর সভা সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন ঢাকায় শুধু সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সংগঠনের শোভাযাত্রা করার ঘোষণা দেন।

“যে দিবসই হোক না কেন ছাত্রলীগের র‌্যালি হবে শুক্রবার ও শনিবার,” বলেন তিনি।

বক্তব্যে মেধাবীদের রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের আরেক সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বক্তব্য দেন।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে ইসমত কাদির গামা, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, আব্দুর রহমান, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাহে আলম, অসীম কুমার উকিল, মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, ইকবালুর রহিম, এনামুল হক শামীম, ইসহাক আলী খান পান্না, বাহাদুর বেপারী, অজয় কর খোকন, নজরুল ইসলাম বাবু মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog