1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন

১৪ আলোকবর্ষ দূরের এক গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা খুঁজে দেখছেন বিজ্ঞানীরা

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ১৭০ বার

বিজ্ঞান ডেস্ক : পৃথিবী থেকে ১৪ আলোকবর্ষ দূরের এক গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা খুঁজে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। অ্যাস্ট্রোফিজিকাল জার্নাল-এর পরবর্তী সংখ্যায় প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাতে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট জানায়, উলফ১০৬১ তারাকে কেন্দ্র করে আবর্তনরত উলফ১০৬১সি নামের এ গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা তরল পানির তাপমাত্রার সমান হওয়ায় এতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা খুবই সম্ভব।

গ্রহটি এর সূর্য থেকে বাসযোগ্য দূরত্বের চেয়েও কিছুটা ভেতরদিকে অবস্থিত হওয়ায় এর পরিবেশের সঙ্গে পৃথিবীর চেয়ে বৃহস্পতি গ্রহের পরিবেশের মিল থাকার সম্ভাবনাই বেশি। তবে, ভিনগ্রহে জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার এ সম্ভাবনাটুকুও যাচাই করে দেখতে চান এমইটিআই (মেসেজিং এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ইন্টারন্যাশনাল-এর বিজ্ঞানীরা।

এমইটিআই ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রেসিডেন্ট ডগলাস ভাকোচ বলেন, “উলফ১০৬১সি-তে প্রাণের অস্তিত্ব থেকে থাকলেও তা আণুবীক্ষণিক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এখন পর্যন্ত আমরা মাত্র ১৪ আলোকবর্ষ দূরের এই এক্সোপ্ল্যানেটে আধুনিক প্রযুক্তির কোনো চিহ্ন খুঁজে পাইনি।”

সিনেট জানায়, প্ল্যানেটারি হ্যাবিট্যাবিলিটি ল্যাবরেটরি-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সৌরজগতের বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এমন সবচেয়ে কাছাকাছি গ্রহগুলোর মধ্যে উলফ১০৬১সি তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। আগের বছর আবিষ্কৃত পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তী সম্ভাব্য বাসযোগ্য গ্রহ আলফা সেঞ্চুরি সিস্টেমে অবস্থিত প্রক্সিমা সেন বি-তে জীবনের সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শোনা গেলেও গ্রহটির সূর্য থেকে ক্রমাগত নির্গত সোলার ফ্লেয়ার এ সম্ভাবনাকে অনেকটাই নাকচ করে দেয়। উলফ১০৬১সি পৃথিবী থেকে প্রক্সিমা সেন বি-এর তুলনায় প্রায় তিনগুণেরও বেশি দূরত্বে অবস্থিত।

এমইটিআই এ যাবত মোট চারটি পৃথক ঘটনায় পানামায় অবস্থিত এর অপটিকাল টেলিস্কোপের সাহায্যে ভিনগ্রহের কোনো সভ্যতার চিহ্ন পেতে অনুসন্ধান চালালেও এখন পর্যন্ত তেমন কিছুই ধরা পড়েনি। ফেব্রুয়ারির শেষদিকে এ তারাটি আবার পানামা থেকে দেখা যাবে এবং এমইটিআই আরও বিস্তৃত ব্যান্ডউইথ সিস্টেমের সাহায্যে অতীতে নজর এড়িয়ে গিয়ে থাকতে পারে এমন ফ্রিকোয়েন্সির সন্ধানে তৎপরতা চালাবে বলে, জানান ভাকোচ।

২০১৮ সালের শেষদিকে গ্রহটিকে লক্ষ্য করে সিগনাল পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে এমইটিআই-এর উল্লেখ করে ভাকোচ বলেন, “আমরা আশা করছি কোনো ভিনগ্রহবাসী এতোদিন আমাদের নজর এড়িয়ে গেলেও এবার প্রত্যুত্তর পেতে আমরা সক্ষম হবো।”

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog