প্রতিবেদক : মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য করা আট জেলার কমিটি স্থগিত করেছে হাই কোর্ট। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার এক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
আদেশে গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, চাঁদপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, ঝালকাঠি ও সিলেটের যাচাই-বাছাই কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।
পাশাপাশি ওই আট জেলার কমিটি ঘোষণার গেজেট স্থগিত করে রুল জারি করেছে আদালত। ওই গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইয়ের জন্য মহানগর, জেলা ও উপজেলায় কমিটি করতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ১২ জানুয়ারি একটি গেজেট প্রকাশ করে।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই বাছাইয়ের বিষয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল গত বছরের ১০ ডিসেম্বর একটি নির্দেশিকা জারি করে। পরে গত ৫ জানুয়ারি আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাছাইয়ের তারিখ পরিবর্তন করা হয়।
এরপর ২১ জানুয়ারি আট জেলার জন্য যাচাই বাছাই কমিটি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়।
মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সরদার আব্দুল মালেককে বাদ দিয়ে ডেপুটি কমান্ডার মো. মজিবুল হক মিয়াকে কমিটিতে রাখা হয় ওই গেজেটে। এ কারণে গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন আব্দুল মালেক।
“আদালত গেজেট স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। গেজেট স্থগিত হওয়া মানে পুরো আট জেলার কমিটির কার্যক্রম স্থগিত হওয়া।”
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উপসচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, কোটালীপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ডেপুটি কমান্ডারের কাছে রুলের জবাব চেয়েছে আদালত।