প্রতিবেদক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিসিই) এবং চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা একটি রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। সার্চ কমিটির সুপারিশ করা ১০ জন থেকে সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেন।
নতুন সিইসি নূরুল হুদার সঙ্গে কমিশনার হিসেবে আছেন সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম,সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।
১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের শপথ গ্রহণের কথা রয়েছে।
রোববার ইসি নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিসিই) এবং চার কমিশনার নিয়োগ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, মর্মে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছিল।
রিটে বলা হয়, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া ‘পাবলিক সার্ভেন্ট রিটায়ারম্যান্ট অ্যাক্ট ১৯৭৪’ আইনের ৫ (১) (২) (৩) ধারার সঙ্গে সংবিধানের ৭, ১৯, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৪, ১১৮ এবং ১৩৫ ধারা সাংঘর্ষিক।
রোববার ইউনুছ আলী আকন্দ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, যে প্রক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ যাদের কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেটা বৈধ হয়নি।
কারণ, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, আইন তৈরি করে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিবেন। সেই আইন তৈরি না করে ইসি নিয়োগ দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।