প্রতিবেদক : জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। ২০১৭ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে রাষ্ট্রীয় এই বাহিনী, যাদের স্লোগান হচ্ছে- ‘বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত’।
বিমান বাহিনীর সঙ্গে আরও ১৫ ব্যক্তি এবার স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এবার ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্ষেত্রে ৬ জন স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। এরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন শামসুল আলম বীর উত্তম, আশরাফুল আলম, শহীদ মো. নজমুল হক, মরহুম সৈয়দ মহসিন আলী, শহীদ এন এম ও নাজমুল আহসান।
এবার সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন রাবেয়া খাতুন ও মরহুম গোলাম সামদানী কোরায়শী। অধ্যাপক ড. এনামুল হক এবং ওস্তাদ বজলুল রহমান বাদল সংস্কৃতিতে স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী এবং সমাজসেবায় খলিল কাজী এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
শামসুজ্জামান খান এবং অধ্যাপক ড. ললিত মোহন নাথ (প্রয়াত) গবেষণা ও প্রশিক্ষণে স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। জনপ্রশাসনে এই পুরস্কার পাচ্ছেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
কয়েকটি বাহিনী এর আগে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান পেলেও বিমান বাহিনীর প্রতীক্ষার অবসান ঘটল এবার।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গঠিত হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। মাত্র তিনটি বিমান সম্বল করে দেশকে স্বাধীন করতে নেমেছিল এই বাহিনী।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবধারী সাতজনের একজন মতিউর রহমান বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৩ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার দেবেন।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।
স্বাধীনতা পদকের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৩ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।