প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারো মুখোমুখী না হয়ে আত্মমর্যাদাশীল দেশ গড়তে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ হবে আত্মমর্যাদাশীল একটি দেশ।
শনিবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত ঢাকা অ্যাপারেল সামিট-২০১৭ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
‘Together for a better tomorrow’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তৈরি পোশাকশিল্প প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) উদ্যোগে এ অ্যাপারেল সামিটের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছি।
এ রূপকল্প অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১৫ শতাংশে নীচে নামিয়ে আনা হবে এবং আমরা হবো মধ্যম আয়ের দেশ। আর এটি বাস্তবায়ন করতে হলে প্রয়োজন দেশে ব্যাপক শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।
তিনি বলেন, পোশাকশিল্প আজ নিঃসন্দেহে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি। আমাদের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশই আসে এ খাত থেকে। প্রত্যক্ষভাবে ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে এ খাতে, যার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই নারী। পরোক্ষভাবে প্রায় চার কোটিরও বেশি মানুষ এ শিল্পের উপর নির্ভরশীল।
শেখ হাসিনা বলেন, এ শিল্পে অগ্রিম আয়কর ১.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৭০ শতাংশ করা হয়েছে। তৈরি পোশাকশিল্পে করপোরেট করের হার ৩৫ ভাগ থেকে কমিয়ে ২০ ভাগ করেছি।
তিনি বলেন, এছাড়া মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছি। শ্রমিক-মালিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন, শ্রমিকদের আইনগত অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং শ্রম কল্যাণে বহুবিধ কর্মসূচি যেমন-শ্রমকল্যাণ ফাউন্ডেশন এবং রফতানিমুখী শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি।
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে পোশাকশিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যদিও বিশ্বের পোশাক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এখাতে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব মাত্র ৫.১ ভাগ।