প্রতিবেদক : কেবল ঢাকা নয়, আসন্ন বাংলা নববর্ষে সারা দেশে সরকারিভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে সোমবার শিল্পকলা একাডেমিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের শুরুতেই মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “এতদিন শুধু ঢাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ আর মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপিত হত। এবার সারা দেশে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ।”
সংস্কৃতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শিল্পকলা একাডেমীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত আছেন।
চারুপীঠ নামের একটি সংগঠন ১৯৮৫ সালে যশোরে প্রথমবারের মতো নববর্ষের উৎসবে পাপেট ও মুখোশ নিয়ে বাদ্য বাজিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে।
এরপর ১৯৮৯ সাল থেকে ঢাকা চারুকলার শিক্ষার্থীরা পহেলা বৈশাখের সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে আসছেন। এই শোভাযাত্রা এখন কেবল বর্ষবরণ উৎসবের অনুসঙ্গই নয়, এর মধ্য দিয়ে বাঙালি সংস্কৃতিকে মেলে ধরার পাশাপাশি সমাজে অবক্ষয় থেকে মুক্তি, পেছনের দিকে হাঁটা প্রতিরোধের আহ্বানও জানানো হয়।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনে গতবছর ৩০শে নভেম্বর জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে তাদের ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
ইউনেস্কো বলেছে, এই মঙ্গল শোভাযাত্রা বাংলাদেশের মানুষের সাহস আর অশুভের বিরুদ্ধে গর্বিত লড়াই আর ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষার প্রতীকী রূপ।
ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ পরিচয় নির্বিশেষে মঙ্গল শোভাযাত্রায় সবার অংশ গ্রহণের বিষয়টিও ইউনেস্কোর ওই সিদ্ধান্তের পেছনে ভূমিকা রেখেছে।