প্রতিবেদক : দেশের অন্যান্য খাতের মতো ক্রীড়াঙ্গনও উন্নয়নের সর্বোচ্চ স্তরে এগিয়ে যাবে এবং খেলাধুলার মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে, এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে টইটং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ফুটবলে লালমনিরহাটের টেপুরবাড়ি বি. কে. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিরোপা জয় করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাপ্রধান মন্ত্রী বলেন, ‘এ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুনাবলী, প্রতিযোগিতা ও দলগত মনোভাব,ঐক্য ও শৃঙ্খলাবোধে গড়ে ওঠবে। তারা জানতে পারবে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ত্যাগের কথা। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ‘ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ এর অবদান।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে ২০১৬ সালে মোট ৩২ হাজার ১৩০টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণকারী স্কুলের সংখ্যা ছিল ৬৪ হাজার ২৬০টি। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ড কাপে ৬৪ হাজার ১৯৬টি বিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে মোট ৩২ হাজার ৯৮টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ২১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এত বিপুল সংখ্যক ছেলেমেয়ের অংশগ্রহণে এ ধরনের টুর্নামেন্ট বিশ্বে বিরল।’
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ আপনারা পড়ালেখার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করবেন।’
দেশের ক্রীড়াঙ্গন সম্পর্কে প্রধান মন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমাদের ক্রীড়াবিদরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। আমাদের মেয়েরা এএফসি অনুর্ধ্ব ১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করছে। ভারতে অনুষ্ঠিত নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় রানার আপ হয়েছে। গত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ জয় করেছি। প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষা ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানে খেলাধূলার সরঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। আমরা খেলাধূলার প্রসারে আর্থিক অনুদান বৃদ্ধি করেছি।’