প্রতিবেদক: স্বনামধন্য লেখকের লেখা পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়া কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষাসচিব ও জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেনসহ দু’জনের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ রুল জারি করেন।
মমতাজ জাহান ও ড. এম আনোয়ার হোসেনের পক্ষে রিটটি দায়ের করা হয়। তাদের দাবি, হেফাজতের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
উল্লেখ্য, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির দুটি পাঠ্যবই প্রায় ১৫ লাখ কপি ছাপা হয়ে যাওয়ার পরও দুটি লেখা বাদ দিয়ে নতুন করে বই ছাপানো হয়। যে দুটি লেখা বাদ দেয়া হয়েছে সে লেখা দুটিসহ আরো কিছু লেখা বাদ দেয়ার দাবি ছিল হেফাজতের।