আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে জারি করা নিষেধাজ্ঞা দুই দফা আদালতে স্থগিত হওয়ার পর এবার ভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। নতুন নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার ৮টি মুসলিমপ্রধান দেশের ১০টি বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী উড়োজাহাজে ট্যাব, ল্যাপটপ, ক্যামেরার মতো বড় ইলেকট্রনিক সামগ্রী সঙ্গে রাখতে পারবে না।
নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর গতকাল মঙ্গলবার এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
৮ দেশের জন্য যুক্তরাজ্যও প্রায় একই রকম নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী যাত্রী উড়োজাহাজে মুঠোফোন রাখতে পারবেন। তবে এর চেয়ে বড় কোনো ইলেকট্রনিক সামগ্রী যেমন ট্যাব, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, আইপ্যাড, গেমস খেলার যন্ত্র পরীক্ষার পর লাগেজে রাখতে হবে।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া বিমানবন্দরগুলো হলো জর্ডানের আম্মানে কুইন আলিয়া বিমানবন্দর, মিসরের কায়রো বিমানবন্দর, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আতাতুর্ক বিমানবন্দর, সৌদি আরবের জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও রিয়াদের কিং খালিদ বিমানবন্দর; কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মরক্কোর কাসাব্লাংকার পঞ্চম মোহাম্মদ বিমানবন্দর; কাতারের দোহায় হামাদ বিমানবন্দর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বিমানবন্দর এবং আবুধাবি বিমানবন্দর।
৯টি আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা এই নিষেধাজ্ঞার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেগুলো হলো তুর্কি এয়ারলাইনস, রয়্যাল জর্ডানিয়ান, ইজিপ্ট এয়ার, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস, কুয়েত এয়ারওয়েজ, রয়্যাল এয়ার ম্যারোক, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস ও ইত্তেহাদ এয়ারওয়েজ।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলো সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু হয়। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। ইলেকট্রনিক সামগ্রীর ভেতরে বোমা বহন করে যাত্রীবাহী বিমানকে টার্গেট করা হতে পারে এমন আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সব সামগ্রীর ভেতরে বোমা লুকানো থাকতে পারে।
এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যও কয়েকটি দেশ থেকে যাওয়া ফ্লাইটে বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ করেছে। তবে কোন কোন দেশ থেকে যাওয়া ফ্লাইটে এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে, তা এখনো খোলাসা করা হয়নি।