প্রতিবেদক: মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের তথ্য ফাঁসের ঘটনার মামলায় আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আাগমী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন ও অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ৪ এপ্রিল রায় ফাঁসের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে ১ বছরের জামিন দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহীদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোটেকট জয়নাল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সাংবাদিকদের দেখান এবং স্পাইরাল বাইন্ডিং করা কপি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের এজলাস কক্ষে নিয়ে যান।
রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) একেএম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। পরে ৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন।
গত বছরের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক মো. শাহজাহান এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৫ জনকে সাক্ষী করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন ও সাঁটলিপিকার ফারুক হোসেনকে ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০ নভেম্বর সেগুনবাগিচায় পাইওনিয়ার রোডের চেম্বার থেকে আইনজীবী ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।