প্রতিবেদক: বিচারক নিয়োগের নীতিমালার ওপর জারি করা রুলের রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত বছরের ২৮ আগস্ট বিচারক নিয়োগের নীতিমালার ওপর জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষামাণ রাখেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন হাসান এম এস আজিম। এ সময় রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ১০ মে বিচারক নিয়োগের নীতিমালার ওপর হাইকোর্টের জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়।
বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দিক-নির্দেশনা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালের ৩০ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী এ রিট দায়ের করেন।
এ রিটের শুনানি নিয়ে ২০১০ সালের ৬ জুন বিচারপতি মো. ইমান আলী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে বাছাই প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা’ আনতে কেন সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা তৈরি করা হবে না, তা জানাতে রুল জারি করেন।
ওই সময় হাসান এম এস আজিম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা আনতে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে, যাতে সকলে অংশ নিতে পারেন।
পরে রিট মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ছিল। ওই বেঞ্চ সাতজন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন। তারা হলেন, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও এ এফ হাসান আরিফ।