স্পোর্টস ডেস্ক: মাশরাফি যতদিন চাইবে ততোদিন দলে খেলবে জানিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তূজার অধিনায়কত্ব পরিবর্তনের কোনো চিন্তা নেই।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পরিষ্কার করে দিয়েছেন সব। মাশরাফি যত দিন ইচ্ছা বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলতে পারবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, বাংলাদেশ দলে এখন পর্যন্ত মাশরাফির বিকল্প তৈরি হয়নি।
নাজমুল বলেছেন, ‘মাশরাফি যত দিন ইচ্ছা তত দিন খেলবে। তাকে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো চিন্তা বোর্ডের নেই। মাশরাফির বিকল্পও এখনো তৈরি হয়নি।’
কৌতূহলীদের প্রশ্ন মূলত ২০১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে। মাশরাফি কি ওই বিশ্বকাপেও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন? তত দিন খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন তো! নাকি বিকল্প কিছু ভাবছে বিসিবি? দু-তিন দিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান মাশরাফির টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে একটি প্রক্রিয়া শুরুর কথা বলেছিলেন। কিন্তু তিনি একবারও বলেননি, তাঁরা মাশরাফির বিকল্প খুঁজছেন, ‘ওয়ানডেতে মাশরাফির অধিনায়কত্ব যাওয়া না যাওয়া নিয়ে কোনো কথাই হয়নি।’ তবে কিছু প্রশ্ন এর পর থেকে হাওয়ায় ভাসছিলই
বিসিবি সভাপতি পরিস্কারভাবে জানিয়েছেন, ‘মাশরাফি যেভাবে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব করে যাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশে এই মুহূর্ত তার বিকল্প খুঁজে পাওয়া সত্যিই অসম্ভব।’
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের দিক দিয়েও মাশরাফি এগিয়ে আছেন বলে অভিমত নাজমুলের, ‘পেস বোলার হিসেবেও তার পারফরম্যান্স অনেক ভালো।’
সিনিয়রদের বিকল্প নিয়ে ভাবনা মানেই কোনো খেলোয়াড়ের বাদ পড়া—এমনটা না ভাবার অনুরোধই ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে, ‘আমাদের মাথায় কিন্তু সব সময়ই থাকে সাকিব চলে গেলে কী হবে, মুশফিক চলে গেলে কী হবে. এমন ভাবনা তো থাকবেই। কিন্তু এমন একটা ভাব হচ্ছে মাশরাফিকে যেন আজই বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাপারটা তা নয়। এমন কিছু ভেবে নেওয়া আমাদের জন্যও অস্বস্তির ওর হিসেবেও অস্বস্তির। যতদিন সে খেলতে পারবে, তাকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ’
এর আগে মাশরাফি প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘পারফরম্যান্স ঠিক থাকলে আমি খেলে যাব। কারণ, খেলাটা এখনো উপভোগ করছি। আমি এখন যেমন খেলছি, তাতে উপভোগ না করার কোনো কারণ দেখছি না। আর আমি তো বিসিবির কাছ থেকে অধিনায়কত্ব চেয়ে নিইনি, বিসিবিই আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। এখন বিসিবি যদি মনে করে দায়িত্বটা অন্য কাউকে দেবে তো দিতেই পারে। আমি অধিনায়কত্বের জন্য খেলি না। আমি খেলোয়াড়, সে জন্যই খেলি। ২০১৯ বিশ্বকাপের কথা বললে এখানে ফিটনেসটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ফর্মও ভালো থাকতে হবে। এ দুটো ঠিক থাকলে ২০১৯ বিশ্বকাপ আমি কেন খেলতে চাইব না! সব ঠিক থাকলে অবশ্যই আমার তত দিন খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।’