1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন

ঘুষের মামলায় আবেদন খারিজ, নাজমুল হুদাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ২৫৬ বার

নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ ছাড়াই হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির অনুমতির চেয়ে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এর ফলে ঘুষ নেওয়ার মামলায় নাজমুল হুদাকে ৪৫ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

রবিবার সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ‘উত্থাপিত হয়নি মর্মে’ আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তবে আদালতে নাজমুল হুদা উপস্থিত ছিলেন না।

পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ২ জানুয়ারি নাজমুল হুদার আবেদনের আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত ৮ নভেম্বর বহুল আলোচিত ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে করা দুর্নীতির মামলায় সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা কমিয়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। একই মামলায় তার স্ত্রী সিগমা হুদার কারাগারে থাকাকালীন সময়কে সাজা বলে গণ্য করে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে বাকিটা মওকুফ করে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশে পুন‍ঃশুনানির পর ৮ নভেম্বর বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

বিচারিক আদালত যেদিন রায় গ্রহণ করবেন, সেদিন থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে নাজমুল হুদাকে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন আদালত।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। নিজের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।

২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাপ্তাহিক পত্রিকা খবরের অন্তরাল এর জন্য মীর জাহের হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদা।

২০০৭ সালের ২৭ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মামলাটির রায়ে নাজমুল হুদাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করেন। তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

নাজমুল হুদার খালাসের রায় বাতিল
এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর,২০১৫ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা নাজমুল হুদাকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দিয়ে মামলাটি হাইকোর্টে পুনঃশুনানির জন্য পাঠিয়েছে।

আদালতে নাজমুল হুদা নিজের পক্ষে শুনানি করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১১ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করে দুদক।

একই বছরের ১৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল বিচারিক আদালত আসামিকে ১২ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়। পরে নাজমুল হুদা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট হাইকোর্ট তাকে খালাস দেয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক লিভ-টু আপিল করে। আপিল বিভাগ আজ হাইকোর্টের ওই রায় বাতিল করেছে। একই সঙ্গে মামলাটি হাইকোর্টে আবার শুনানির নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান খুরশীদ আলম খান।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা আপিল করলে ২০১১ সালের ২০ মার্চ হাইকোর্ট তাদের খালাস দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে উভয় আবেদনের শুনানি করে সর্বোচ্চ আদালত ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর হাই কোর্টের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেয়।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog