‘খালেদা জিয়ার কারাবাস প্রলম্বিত হবে কিনা তা আদালত জানে, বিএনপি ভাঙ্গুক তা আওয়ামী লীগ চায় না’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দুপুর সাড়ে ১২টায় হোটেল রেডিসনের সামনে বিআরটিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। এসময় বিএনপি সাংগঠনিক সংকট সৃষ্টির জন্য তারেক রহমানই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে বিএনপির মতো একটা বড় দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য চাই। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মজা না থাকলে নির্বাচনে মজা নেই। আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক এবং নির্বাচনটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক।
বিএনপিতে ভাঙন ধরাতে চাইছে সরকার- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন,আমি চাই না বিএনপি ভাঙ্গুক। বিএনপি একটা বড় দল, আমরা এই চেষ্টাও আমরা করবো না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি ভাঙার জন্য আমি মনে করি বিএনপি নিজেরাই দায়ী হবে। বিএনপির সংকট আমরা ঘনীভূত করবো না, আমরা এখানে ফ্যাক্ট না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ডাকে বিগত নয় বছর জনগণ সাড়া দেয়নি। জনগণ সাড়া না দিলে গণআন্দোলন হবে না। নেতারা যদি আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘরে বসে থাকে, তাহলে আন্দোলন কীভাবে সম্ভব? খালেদা জিয়ার জন্য মানুষ রাস্তায় নামেনি। মানুষ কী এখন বিএনপির জন্য রাস্তায় নামবে?’
মন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনাপির নেতারা) একবার বলছে যেকোনো পরিস্থিতিতে নিবার্চনে যাবে, আবার বলছে খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। তারা আসলে কোনটা চায়? বিএনপির মতো বড় দল নির্বাচন আসুক আমরা চাই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন। সেজন্য বিএনপির মতো বড় দলের নির্বাচনে থাকাটা দরকার।’
তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক আন্দোলনই কখনো সফল হয় না, যদি জনগণের সমর্থন না থাকে। খালেদা জিয়ার জন্য মানুষ রাস্তায় নামেনি। মানুষ কি এখন বিএনপির জন্য রাস্তায় নামবে? মানুষ এখন আর আন্দোলের মুডে নেই, নিবার্চনের মুডে আছে জনগণ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আপিলের সুযোগ আছে। জামিন দিবে কিনা, সিদ্ধান্ত নিবে আদালত। আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়, তার (বেগম খালেদা জিয়া) কারাবাস প্রলম্বিত হবে কিনা আদালতই ভালো জানেন। এখানে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।’