বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে যে ৭ নম্বর ধারা বাদ দেয়া হয়েছে, সেটিই তাদের গলার কাঁটা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ ধারা অনুযায়ী দুর্নীতি, দেউলিয়া বা দণ্ডিত ব্যক্তি বিএনপির নির্বাহী কমিটির মেম্বার হতে পারবে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।’
খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে দলীয় পদে রাখতেই বিএনপি গঠনতন্ত্রে এ সংশোধনী এনেছে বলে দাবি করেন সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারির ঠিক আগে বিএনপি কেন তাদের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা তুলে নিল। যে ৭ ধারা ছিল দুর্নীতি, দেউলিয়াপনা, উম্মাদ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এবং আদালতে দণ্ডিত হওয়ার বিরুদ্ধে নৈতিকতার দিক থেকে রক্ষাকবজ।’
খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আওয়মী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আদালত দেবেন। এটা রাজনীতির কোনো বিষয় নয়।’ রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি দিতে দেরির জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপির বক্তব্যও প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ‘এটি আদালত বলতে পারে। কোনো কোনো পত্রিকায় এমন নিউজ আইটেম দেখেছি, তারাই (বিএনপি) নিয়মানুযায়ী সংক্ষিপ্ত সময়ে কপি পাওয়ার জন্য আবেদন করেনি।’
খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না দলটির নেতাদের এমন বক্তব্যে প্রেক্ষাপটে কাদের বলেন, ‘কারও জন্য কিছু আটকে থাকে না। তারা যদি না আসে, কারও জন্য নির্বাচনের ট্রেন থেমে থাকবে না।’