‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা তা ঠিক করবে উচ্চ আদালত’ বলে মন্তব্য করেছেন সিইসি নুরুল হুদা।
সোমবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সাথে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। বেলা ২টা ১০ মিনিট থেকে ২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে অবস্থান করেন তিনি। এ সময় কমিশনের অন্য কোনো সদস্য তার সঙ্গে ছিলেন না।
তিনি বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় বর্তমান অবস্থায় খালেদা জিয়া আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তবে পরে উচ্চ আদালত এই বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমরা সে অনুসারে কাজ করতে বাধ্য।’ তবে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে বলে নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশা। তবে বিএনপি নির্বাচনে না এলে কমিশনের কিছু করার নেই, থাকবে না।’
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছে বিচারিক আদালত। এ রায়ের পর থেকেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর অংশ নিতে পারা না পারা নিয়ে জনমনে ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সংশয় দেখা দিয়েছে। রায় ঘোষণার পর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে বন্দি আছেন।
ওই রায়ে একইসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
রায় ঘোষণার পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন বিএনপি চেয়ারপারান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।