উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগে আইনের খসড়া প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, বিচারপতি নিয়োগে আইন প্রণয়নে সরকার সম্পূর্ণ একমত। শুধু আইন প্রনয়ণের প্রস্তুতি নয়, খসড়াও প্রায় তৈরি হয়ে গেছে। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে এটা মন্ত্রিপরিষদে পাঠাতে পারবো।
শনিবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে নতুন আইনজীবীদের মধ্যে সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইন পেশায় অব্যাহতির পরে আইনজীবীদের কল্যাণ ফান্ডের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনজীবীদের একটি বোনাভোলেন্ড ফান্ড রয়েছে। কিন্তু সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। আইনজীবীদের দীর্ঘ দিনের দাবি অনুযায়ী এই বোনাভোলেন্ড ফান্ডে সরকারের পক্ষ থেকে ৪০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আইনজীবীদের সুবিধায় বার কাউন্সিলের একটি বহুতল ভবন নির্মাণের প্রস্তাব ইতিমধ্যে একনেকে পাশ করার জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, বার (আইনজীবী) ও বেঞ্চ (বিচারালয়) একে অপরের সম্পূরক। তবে কার্যক্রমের ভিন্নতা থাকবে। কিন্তু তাদের হাতে হাত দিয়ে একসঙ্গে হাঁটতে হবে। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি খুন্ন হয় এমন কাজ করা যাবে না।
আইন পেশায় জ্ঞান ও মেধা দিয়ে মক্কেলদের সহযোগিতা করতে হবে। এজন্য বেশি বেশি জ্ঞানের চর্চা করতে হবে। সেক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে পেশাগত অসদাচারণমূলক ব্যবহার কখনোই কাম্য নয়।
অনুষ্ঠানে বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বার কাউন্সিলের এনরোল কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম, সদস্য ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু, বারের লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান জেড. আই. খান পান্না প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু।
পরে ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল বার কউন্সিলে যুক্ত হওয়া ৩ হাজারের বেশি সদস্যের হাতে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির সনদ তুলে দেয়া হয়।