বহুল আলোচিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসি এবং তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার আলোচিত এ মামলার রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- মাসকাওয়াত ওরফে সাকিব ও শরিফুল।
২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল রাজশাহীর শালাবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে একটু দূরে অধ্যাপক রেজাউলকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে তার ঘাড়ে তিনটি বড় কোপের আঘাত দেখা যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় তার ছেলে বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে এ হত্যার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট- আইএস।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, ‘অভিযোগপত্রে পাঁচ আসামীর বিরুদ্ধে বিচারকার্য পরিচালিত হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন কারাগারে, একজন জামিনে এবং একজন পলাতক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় চারজনকে আদালতে হাজির করা হয়।’
আসামীরা হলেন, বগুড়ার শিবগঞ্জের মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে সাকিব, নীলফামারির মিয়াপাড়ার রহমত উল্লাহ, রাজশাহী মহানগরীর নারিকেল বাড়িয়া এলাকার আবদুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলী, রাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম।
তবে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শরিফুল ইসলাম পলাতক। আবদুস সাত্তার জামিনে ছিলেন। আর বাকি তিন আসামি কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
আইনজীবী বাবু বলেন, ‘গত ১১ এপ্রিল মামলার রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওই দিন বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেন। এ মামলায় মোট ৩২ জন সাক্ষী ছিলেন। তবে আদালত ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।
২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী নগরের শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয় রাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে।
আলোচিত এ হত্যাকান্ডের তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আট আসামির মধ্যে খায়রুল ইসলাম বাঁধন, নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান ও তারেক হাসান ওরফে ওসমান অভিযোগপত্র দেয়ার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।