অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার প্রধান রসদ সরবরাহ ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল।কারাম সালোম নামের এই কমার্শিয়াল বর্ডার ক্রসিং দিয়ে গাজার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হতো।
সোমবার এটি বন্ধ করে দেয় ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
অগ্নিসংযোগ ও অনুপ্রবেশের চেষ্টার প্রতিশোধ হিসেবে রসদ সরবরাহ ক্রসিংটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে ইসরাইলি সেনাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
হামাসের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমানভাবে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
সোমবার লিকুদ পাটির বৈঠক নেতানিয়াহু বলেন, ‘খুব শিগগিরই হামাসের বিরুদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি।’
ইসরাইলি প্রতিরক্ষার বাহিনীর (আইডিএফ) এক ঘোষণা বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার প্রধান বাণিজ্যিক ক্রসিং কারাম শালোম ক্রসিং দিয়ে গাজা থেকে কোনো আমদানি-রপ্তানি বা পণ্য বাজারজাত করতে দেয়া হবে না। শুধু খাবার ও ঔষধের মতো মানবিক সামগ্রী ব্যক্তি পর্যায়ে সরবরাহের সুযোগ দেওয়া হবে।
ইসরাইলি সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল গাদি আইসেনকটের সুপারিশের পর নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান কর্তৃক এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আইডিএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ইসরাইল গাজা স্ট্রিপে মানবিক পরিস্থিতি উন্নত করতে চায়। কিন্তু গাজা থেকে হামাসের অব্যাহত ঘুড়ি উড়ানো ও রকেট উৎক্ষেপণের কারণে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছ।’
গত ৩০ মার্চ থেকে গাজা থেকে উড়ে আসা ঘুড়ি ও বেলুনের আগুনে ইসরাইলের প্রায় ৭ হাজার একর জমির ফসল পুড়ে গেছে।
সোমবার আইডিএফ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ‘এই ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে, তাদের এই পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে এবং আরো তীব্র করা হবে।’
হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘গাজার অবরোধকে আরো কঠোর করতে দখলদার সরকারের নতুন এই পদক্ষেপের অনুমোদন একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং তাৎক্ষণিক এর জবাব দেয়া হবে।’
কারাম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দেয়াকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে অভিহিত করেছে হামাস এবং এর জবাব দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট