1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন

সবজি নাকি জুস কোনটি ভাল?

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৯
  • ২৯৬ বার

সুষম খাবারের হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন তিন কাপ সবজি খাওয়া ভাল। তবে এই হিসাব কয়জন মেলাতে পারেন। কারণ টাটকা সবজি কিনে, কেটে রান্না করার সময়ই হয়তো অনেকে পান না। ফলে স্বাস্থ্যের জন্য যা ভাল তা করতে পারছি না আমরা। তাই তো অনেকেই তাজা সবজির জুস খান। কিন্তু সেটাও শরীরের জন্য কতটুকু ভাল জেনে নিন।

স্ট্যানফোর্ড মেডিসিন ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের মতে, এক কাপ গাজরের জুস খাওয়া আর ৫ কাপ কুঁচোনো কাঁচা গাজর খাওয়া পুষ্টিগুণ সমান। এতে পটাশিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন এ এবং সি পাওয়া যায়।

যেকোনো সবজির জুসে ক্যালোরি খুব কম, চর্বি নেই তাই এটি ওজন ও রক্তচাপ কম রাখার পাশাপাশি হার্টও ভাল রাখে। এমন কি কাজের চাপে খাওয়ার সময় না পেলে একগ্লাস তাজা সবজির জুস খেয়ে নিলে পাবেন এনার্জি।

তবে বাজারের কেনা প্যাকেট জুস না খাওয়াই ভাল। প্যাকেটের জুসের এত গুণ নেই। কারণ তা পাস্তুরাইজ করে জীবাণুমুক্ত করার সময় অনেক উপকারি উপাদানই নষ্ট হয়ে যায়।

এছাড়া স্বাদ বাড়ানোর জন্য মেশানো হয় গাঢ় ফলের রস। নো অ্যাডেড সুগার লেখা থাকলেও তাতে সুগার বেশি থাকে। যা ডায়াবেটিক ও মোটা মানুষদের জন্য একেবারেই ঠিক নয়। এছাড়া তাতে প্রিজারভেটিভ থাকে যা ত্বকের ক্ষতি করে। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক জুসে মেশানো হয় কৃত্রিম রং ও গন্ধ, তা থেকে ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে।

তবে চাইলেই সব সবজির জুস খেতে পারবেন না। চিকিৎসকদের মতে, হৃদরোগ বা কিডনির সমস্যা থাকলে লো পটাশিয়াম ডায়েট খেতে হবে। তার মানে সবুজ শাক, তুলসি পাতা, বিট শাক, চাইনিজ বাঁধাকপি, ব্রকোলি, পালং শাক ইত্যাদির জুস খাবেন না। কারণ এতে ওষুধের কার্যকারিতা কমে রোগের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে।

জুস বানানোর নিয়ম

খুব তাজা–চকচকে বা স্বাভাবিকের চেয়ে বড় মাপের সবজি কিনবেন না।

সবজি ধুয়ে এক কাপের এক চতুর্থাংশ সাদা ভিনেগার ও এক চামচের এক চতুর্থাংশ লবণ মিশিয়ে সবজি ভিজিয়ে রাখুন। দশ মিনিট ধুয়ে নিন। এতে ৮০ শতাংশ জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

খোসা ভাল করে ছাড়িয়ে জুস বানান।

জুস বানিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিন এবং জুসার ধুয়ে রাখবেন। কারণ পরে সেখানে জীবাণু তৈরি হবে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog