কামরাঙ্গা কাঁচা অবস্থায় যেমন সুস্বাদু, তেমনি পাকা মিষ্টি অবস্থায়ও অনেক উপাদেয়। প্রাক ঐতিহাসিক যুগ থেকে কামরাঙ্গা বেশ জনপ্রিয় ফল। কিন্তু অতি সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, কামরাঙ্গা বা কামরাঙ্গার রস খাওয়ার পর কিডনি বিকল হয়ে পড়ে।
সাধারণ মানুষেরা কামরাঙ্গা খেলে, কিডনি তা শরীর থেকে বের করে দেয়। কিন্তু কিডনি রোগীর দুর্বল কিডনি শরীর থেকে এই বিষ বের করে দিতে সক্ষম নয়। এর ফলে তা রক্ত থেকে আস্তে আস্তে দেহের মস্তিষ্কে প্রবেশ করে এবং বিষক্রিয়াও ঘটাতে পারে।
এই সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণগুলো হলো
১) ক্রমাগত হেঁচকি ওঠা
২) দেহ দুর্বল হয়ে যাওয়া
৩) মাথা ঘোরা
৪) বমি বমি ভাব
৬) মৃগী রোগীর মত কাঁপুনি উঠা
কামরাঙ্গা খাওয়ার পর কিডনী রোগীর মধ্যে এই ধরণের লক্ষন গুলো দেখা দিলে দ্রুত তার hemodialysis -এর ব্যবস্থা নিতে হবে।
অনেকে কামরাঙ্গা খেলে অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। এই অবস্থায় মানুষের মৃত্যুর হার বেশি। আগে মনে করা হতো কিডনি ফেইলিউরের মাত্রা বাড়ার কারণে এ অবস্থা হয়, কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা গেছে কামরাঙ্গার ক্যারাম্বক্সিন নামক উপাদানের জন্য এ অবস্থা হয়।
সাধারণত যাদের কিডনি ভালো, স্বাভাবিক পরিমাণে কামরাঙ্গা খেলে তাদের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে এরা যদি অত্যধিক কামরাঙ্গা বা রস অথবা নির্দিষ্ট পরিমাণে অনেক দিন গ্রহণ করে, তা হলে শরীরে অতিমাত্রায় অক্সালিক অ্যাসিড জমে গিয়ে অক্সালেট নেফ্রোপ্যাথি হয়ে কিডনি বিকল হতে পারে।