পরিবারের সম্মতি না থাকায় পাকিস্তান সফরকে আগেই ‘না’ করে দিয়েছেন মুশফিক। এমনকি পাকিস্তান সফর চূড়ান্ত হওয়ার আগেই এই সফর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন বাংলাদেশের দলের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। মুশফিক না যাওয়াতে টেস্ট দলে রাখা হয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তকে। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় মুশফিকবিহীন বাংলাদেশকে বেশ ভুগতে হয়েছে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর টেস্টে আবারো ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে ঘোষণার আগে প্রধান নির্বাচক জানিয়েছিলেন একসঙ্গে তিন টেস্টের দল ঘোষণা করা হবে। অন্যদিকে পাকিস্তান সফরে না গেলেও ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন মুশফিক। তবে মুশফিকের এমন সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেনি বিসিবি।
অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে তাতে মনে হয় মুশফিককে এবার পাকিস্তান সফরে যেতেই হবে। না গেলে ভোগ করতে হতে পারে বড় শাস্তি। শাস্তিটা হলো এখন যদি মুশফিক বলে যে, আমি পাকিস্তানে যাবো না, তাহলে কিন্তু ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টেও রাখা হবে না তাকে। আর যদি বিসিবির টিম ম্যানেজমেন্টের এই শর্তে রাজি হন মুশফিক, অর্থাৎ পাকিস্তান যাওয়ার জন্য ‘হ্যাঁ’ বলেন তাহলে হোম টেস্টেও রাখা হবে মুশফিককে। তাতে যেন মুশফিক পড়ে গেলেন উভয়সংকটে। তাকে ছাড়াই এরিমধ্যে দুইবার পাকিস্তান গেল বাংলাদেশ দল। তিনি যাবেন না সেটা আগেই জানিয়েছেন। কারণ তার পরিবার তাকে পাকিস্তানে যেতে দিচ্ছেন না। এখন কথা হলো, তৃতীয় দফাও কী মুশফিক তার আগের ‘না’ এর মধ্যে থাকবেন। না-কি সেটা ‘হ্যাঁ’ হবে।
জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন, মুশফিকের কারণে তিন টেস্টে তিনবার দলে পরিবর্তন করার পক্ষে নন তিনি। কোচের এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন আছে জাতীয় দল নির্বাচকদেরও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির নির্বাচক প্যানেলের একজন বলেন, ‘বাংলাদেশ দল দুবার পাকিস্তানে খেলে এসেছে। কারও কোনো সমস্যা হয়নি। সতীর্থদের কথা ভেবে হলেও মুশফিক গেলে ভালো করবে আমি মনে করি। টেস্ট দলটা খুবই দুর্বল হয়ে গেছে। সেখানে বারবার পরিবর্তন করা হলে কেউই সেটেল হতে পারবে না। আমি মনে করি, যাকে পাকিস্তান সফরের জন্য নির্বাচন করা হবে তাকেই যেতে হবে।